ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খাদ্যমন্ত্রীর জামাতার মৃত্যু: হার্ট-ভিসেরা নমুনা সংগ্রহ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৯
খাদ্যমন্ত্রীর জামাতার মৃত্যু: হার্ট-ভিসেরা নমুনা সংগ্রহ রাজন কর্মকার ও তার স্ত্রী/ছবি: রাজনের ফেসবুক থেকে নেওয়া

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডেন্টাল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং খাদ্যমন্ত্রী সাধন মজুমদারের জামাতা রাজন কর্মকারের (৩৯) রহস্যজনক মৃত্যুর কারণ জানতে মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি, তবে পরীক্ষার জন্য মরদেহের হার্ট ও ভিসেরা নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট এলে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

সোমবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাজনের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।

এ বিষয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সেলিম রেজা বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। মরদেহের হার্ট ও ফরেনসিক নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনাগুলো হিস্টোপ্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।

পরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, ডা. রাজনের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় পরিবার ও সহকর্মীদের দাবির মুখে একটি অভিযোগ গ্রহণ করেছে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ। তবে এ বিষয়ে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।

শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুন্সী বাংলানিউজকে বলেন, একটি অভিযোগ গ্রহণ করে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এরইমধ্যে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রোববার (১৭ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডের বাসা থেকে রাজনকে তার পরিবারের লোকজন স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন

নিহত রাজন বিএসএমএমইউ’র ওরাল অ্যান্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তার স্ত্রী কৃষ্ণা মজুমদার বিএসএমএমইউ’র সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।

পুলিশ জানায়, রাজনের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। রাজনের পরিবারের অস্বাভাবিক মৃত্যুর দাবিটি আমলে নিয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

নিহতের এক নিকটাত্মীয় বলেন, রাজনের শ্বশুরবাড়ির লোকজন স্বাভাবিক মৃত্যু ধরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু ডায়াবেটিস নেই এমন একজন লোকের এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। তাই আমরা ময়নাতদন্ত চাই।

রাজনের এক সহকর্মী বলেন, মৃত্যুর আগের রাত ১২টা পর্যন্ত একটি হাসপাতালে রোগীর অস্ত্রোপচার করে ইন্দিরা রোডের বাসায় যান রাজন। রাজনের এই করুণ মৃত্যু তার পরিবার মেনে নিতে পারছে না। তাই তারা ময়নাতদন্ত করাতে চাইছে।

জানা যায়, রাজন কর্মকার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অষ্টম ব্যাচের (বিডিএস) ছাত্র ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জের এখলাসপুর। তার বাবার নাম সুনীল কর্মকার।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৯
পিএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad