ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদযাপন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১২ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৯
রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদযাপন রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদযাপন, ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রাজশাহীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

রোববার (১৭ মার্চ) সকালে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মহানগরীর কুমারপাড়ায় স্বাধীনতা চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

এ সময় মহানগর দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেণী, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, উপ-প্রচার সম্পাদক মীর ইশতিয়াক আহমেদ লিমনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে নয়টায় সিঅ্যান্ডবি মোড় থেকে শিল্পকলা একাডেমি পর্যন্ত শিশু সমাবেশ ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জন্মদিনের কেক কাটা হয়।

সকাল সোয়া ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। একইস্থানে ‘শিশুর স্বাস্থ্য সচেতনতা, পুষ্টি ও খাদ্য’ সম্পর্কে আলোচনা অনুষ্ঠান হয়। রাজশাহী জেলা প্রশাসক এসব কর্মসূচির আয়োজন করে।

রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার মো. নূর-উর-রহমান প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিস আক্তার, ডিআইডি এম খুরশীদ হোসেন, পুলিশ সুপার (এসপি)মো. শহীদুল্লাহ, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুল হাদি।

বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সর্বগুণের অধিকারী। তিনি জনগণের মুক্তির জন্য অনেক জেলজুলুম খেটেছেন। তিনি শিশুদের খুব ভালোবাসতেন।

বক্তারা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ পৃথিবীতে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ও ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্তি হয়েছে। তিনি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেননি।

এদিন জেলার সব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর আলোচনা ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। বাদ যোহর সব মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে সুবিধামত সময়ে প্রার্থনা করা হয়। এছাড়া রাজশাহী সিটি করপোরেশন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) আলাদা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৯
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।