ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

না’গঞ্জে চিকিৎসকের অবহেলায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১২ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৯
না’গঞ্জে চিকিৎসকের অবহেলায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে অবস্থিত ৩শ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলায় মেরাজ (১১) নামে এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

মেরাজ সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকেশ্বরী এলাকার রমজান আলীর ছেলে।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টায় বমি প্রতিরোধক ইনজেকশন পুশ করার ২ মিনিটের মধ্যেই মেরাজের মৃত্যু হয়।

তবে অবহেলার কথা অভিযোগ অস্বীকার করে শিশুটিকে হাসপাতালে বিলম্বে নিয়ে আসা হয়েছে দায়ী করেছেন চিসিৎসকরা।  

মেরাজের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) রইচ উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বন্ধুদের সঙ্গে বারুদের বোমা নিয়ে খেলতে গিয়ে ছেলেটি পায়ে জখম হয়। এরপর রাত ১০টার দিকে তাকে খানপুর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরদিন শুক্রবার শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। এসময় শিশুটি প্রচুর বমি হচ্ছিলো। এসময় তারা অনেক খোঁজাখুঁজি করলেও চিকিৎসকদের কেউ এগিয়ে আসেনি। একপর্যায়ে চিকিৎসকরা শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে স্যালাইন ও ইনজেকশন পুশ করেন। ইনজেকশন পুশ করার ২ মিনিটের মধ্যে শিশুটির মৃত্যু হয়।

মেরাজের বাবা রমজান আলী বলেন, বৃহস্পতিবার বন্ধুদের সঙ্গে বারুদের বোমা নিয়ে খেলতে গিয়ে পাঁয়ে ব্যথা পায় মেরাজ। এরপর রাত ১০টার দিকে আমরা তাকে খানপুরে অবস্থিত ৩শ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা ব্যান্ডেজ করে দেন। শুক্রবার দুপুরে মেরাজের বমি শুরু হলে বিকেলে আবারও হাসপাতালে নিয়ে আসি। এসময় অনেক খোঁজাখুঁজি করলেও চিকিৎসকদের কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে চিকিৎসক এসে মেরাজকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে একটা ইনজেকশন পুশ করেন। ইনজেকশন পুশ করার ২ মিনিট পরেই মেরাজের মৃত্যু হয়।

অবহেলার কথা অভিযোগ অস্বীকার করে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. অমিত রায় বলেন, ছেলেটি আসার পরেই আমরা বুঝেছি তার অবস্থা গুরুতর। তার ক্ষতস্থান থেকে ইনফেকশন সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছিলো। তাই দ্রুত তাকে ঢামেক নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছি। কিন্তু তারা ঢাকায় না নিয়ে বারবার আমাদের কাছে অনুরোধ করছিলো। আমাদের ধারণা অনুযায়ী ছেলেটা হয়তো পথিমধ্যেই মৃত্যু বরণ করতো, কিন্তু সেটি তো আর রোগীর পরিবারের সামনে বলা যায় না। সর্বশেষে তারা স্যালাইন দেওয়ার অনুরোধ করলে আমরা তার বমি ঠেকাতে একটি ইনজেকশন ও স্যালাইন দেই। তারপরেই ছেলেটি মৃত্যুবরণ করে।  

বাংলাদেশ সময়: ২২০৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৯
ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।