ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

৩দিনের ছুটিতে পর্যটকমুখর কক্সবাজার সৈকত

সুনীল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৯
৩দিনের ছুটিতে পর্যটকমুখর কক্সবাজার সৈকত সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে পর্যটকদের ভিড়, ছবি: বাংলানিউজ

কক্সবাজার: ‘কক্সবাজার তো অসাধারণ একটি জায়গা। এই সমুদ্রের সামনে এলেই মন ভাল হয়ে যায়। তাই আমি মনে করি বাংলাদেশে ভ্রমণের জন্য কক্সবাজারের চেয়ে সুন্দর জায়গা আর হতে পারে না। একমাত্র এখানেই আমরা একসঙ্গে সাগর ও পাহাড়ের মেলবন্ধন দেখতে পাই। সপরিবারে কক্সবাজার বেড়াতে এসে এবারের অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ’।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে বালুকাবেলায় বসে এভাবেই নিজের অনূভূতি ব্যক্ত করছিলেন ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক ফারিহা রহিম।

শুধু ফারিহা দম্পতিই নন, শুক্রবার (১৫ মার্চ) থেকে শুরু হওয়া টানা তিনদিনের ছুটিতে বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আবারও সমাগম হযেছে লাখো পর্যটকে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভাল থাকায় সৈকত ও আশপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকেরা। সৈকতের পাশাপাশি পর্যটকেরা সেন্টমার্টিন, রামুর বৌদ্ধ বিহার, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, ইনানী হিমছড়িতে ভ্রমণ করছেন।

ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক তানিয়া বাংলানিউজকে বলেন, শুধু আমি কেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের কারণে অনেকের কাছে স্বপ্নের শহর এই কক্সবাজার। আমার কাছে ও তাই। কক্সবাজার ভ্রমণের লোভ তো সবারই আছে। আর স্বপ্নের সেই সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখা, বালুকা বেলায় ছোটাছুটি আর লোনাজলে সমুদ্র স্নানের অনাবিল আনন্দে কে মুগ্ধ হবে না বলুন। সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে পর্যটকরা, ছবি: বাংলানিউজকে এম মনিরুজ্জান রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, সারা বছরই কাজের মধ্যে ডুবে থাকতে হয়। ছুটি মেলানো কঠিন। তাই এবার ছুটি পেয়ে বন্ধুদের সঙ্গে কক্সবাজার ছুটে এলাম। এখানে তিনদিন থাকবো। অসাধারণ সময় কাটছে এখানে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসকে ঘিরে শুক্রবার থেকে টানা তিনদিনের ছুটি শুরু হয়েছে। এখানকার চার শতাধিক হোটেল মোটেল গেস্ট হাউসের প্রায় সবকটি বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটকদের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

লাবণী সৈকত সংলগ্ন হোটেল ফু ওয়াং ডমিসেন রিসোর্টের ব্যবস্থাপক শেখ কামরুজ্জামান সেলিম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের হোটেলের সবক’টি রুমই ইতোমধ্যে বুকিং হয়ে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবাটুকু দিতে। সেবা পেয়ে পর্যটকেরাও সন্তুষ্ট। সমুদ্র সৈকতে সেলফি তুুলছেন পর্যটকরা, ছবি: বাংলানিউজহোটেল দি কক্স-টুডের ব্যবস্থাপক আবু তালেব বলেন, গরম চলে আসছে। আমরা মনে করছি, এই মৌসুমের শেষ চাপ এটি। টানা তিনদিনের শেষ ছুটি হিসাবে এবার পর্যটকদের সাড়া বেশ ভাল। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি ভাল সেবা দেওয়ার জন্য।

কক্সবাজার হোটেল ঝাউবনের সত্ত্বাধিকারী মো. আলী বাংলানিউজকে জানান, এখানকার চার শতাধিক আবাসিক হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউসে সোয়া লক্ষাধিক মানুষের রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা রয়েছে। থাকা-খাওয়ার সুবিধার কারণে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভাল থাকায় পর্যটকেরা ভ্রমণের জন্য কক্সবাজারকে বেছে নেন। তাই কক্সবাজারে দিন দিন পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। আমরাও দিন দিন সেবার মান বাড়ানোর চেষ্টা করছি।

টানা তিনদিনের ছুটিতে লাখো পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. মাহমুদুল আলম।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শুধু কক্সবাজার সৈকত নয়, সৈকতের আশপাশে যেসব পর্যটন কেন্দ্রগুলো আছে হিমছড়ি, ইনানীসহ সেন্টমার্টিনও ভ্রমণকারী পর্যটকদেরও টুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে । বিশেষ করে এই তিনদিনের বাড়তি চাপ সামলানোর পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি ব্যস্ততম বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে সাদা পোশাকেও দায়িত্ব পালন করছে টুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৯
এসবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad