ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মশক নিধনে ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিটি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৯
মশক নিধনে ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিটি মশক নিধন কর্মীদের সঙ্গে মেয়র আতিকুলের মতবিনিয়ম/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: মশক নিধনে ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ওয়ার্ড সচিব, স্থানীয় শিক্ষক, ধর্মীয় ব্যক্তি এবং গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে গঠন করা হবে এসব কমিটি। 

শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে ডিএনসিসির মশক নিধন কর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

মহাখালী ডিএনসিসি মার্কেটে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, মশার কোনো বাউন্ডারি ওয়াল নেই।

তবুও আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করে যেতে হবে। এ জন্য আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে কমিটি গঠন করবো। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে দেখিয়ে দিতে চাই যে আমরাও পারি। মশার উপদ্রবকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে অন্তত একটি সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে চাই আমরা।

মশক নিধনের সঙ্গে জড়িত সব পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের যথাযথভাবে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, মশক কর্মীরা রাত দিন খেটে ঢাকা শহরের অলিতে-গলিতে ওষুধ দেন। তাদের জন্য আমার কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা। তবে আমার ভালোবাসাকে দুর্বলতা ভাবলে সেটি বড় ভুল হবে। লোক দেখানো ফগিং মেশিন, লাভা সাইট দেওয়া চলবে না। কাজে ফাঁকি দেওয়া যাবে না। আপনারা দেখিয়ে দিন যে আপনারা পেরেছেন, আমি দেখিয়ে দেব যে আমি আপনাদের জন্য আমি কি করতে পারি।  

এর আগে মশক কর্মীদের কাজের সুবিধার জন্য নানান দাবি দাওয়া তুলে ধরে বক্তব্য দেন ডিএনসিসির মশক নিধন কমিটির সদস্য এবং ১৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ডা. জিনাত আলী।

তিনি বলেন, এলাকার আয়তন এবং জনসংখ্যা উপর ভিত্তি করে মশার ওষুধ লোকবল ও বাজেট বরাদ্দ করতে হবে। মশক কর্মীদের যাতায়াতের জন্য যানবাহন দিতে হবে। একজন মশক কর্মী প্রায় ১৫ কেজি ওজনের একটি যন্ত্র ঘাড়ে নিয়ে মাইলের পর মাইল হেঁটে হেঁটে মশার ওষুধ দেয়। এছাড়াও মশার ওষুধ এবং মেশিনে পরিবর্তন আনতে হবে। মেশিনে অনেক শব্দ হয়। মশা নিয়ে কাজ করতে করতে কর্মীরা মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের জন্য সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য কার্ডের মাধ্যমে সেবা নিশ্চিত করতে হবে।  

এছাড়াও প্রতিটি ওয়ার্ডে আরো পাঁচজন করে মশক নিধন কর্মী বাড়ানোর আহ্বান জানান কমিটির আরেক সদস্য ও কাউন্সিলর আব্দুল মান্নান।  

ডিএনসিসির  প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, সচিব মাহবুব আলমসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়াও মশক নিধন বিভাগ এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিভাগের প্রায় তিনশ কর্মী মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৯
এসএইচএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।