ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দুদকের নাম ভাঙিয়ে সক্রিয় প্রতারকচক্র, সতর্কতা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৯
দুদকের নাম ভাঙিয়ে সক্রিয় প্রতারকচক্র, সতর্কতা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)

ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম ব্যবহার করে দেশে-বিদেশে একাধিক প্রতারক বা প্রতারকচক্র আখের গোছাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) নিজেদের গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে দুদকের উপ পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বাংলানিউজকে বলেন, মামলা বা কমিশনের কাল্পনিক মামলা অথবা কাল্পনিক অভিযোগ থেকে অব্যাহতি অথবা অভিযুক্ত করা হচ্ছে জানিয়ে টেলিফোনের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ দাবি করছে চক্রটি।

তিনি বলেন, আবার এমনও অনেক প্রতারক রয়েছেন, যারা একইভাবে কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এমনকি কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন দফতর বা সংস্থায় অবৈধ তদবির করছেন।

প্রতারকচক্র কোনো কোনো ক্ষেত্রে কমিশনের কর্মকর্তাদের আত্মীয়, বন্ধু কিংবা অন্য কোনো স্বজন পরিচয় দিয়ে এসব তদবির করছেন। কমিশন এ জাতীয় কর্মকাণ্ড বন্ধে বহুমাত্রিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

কমিশনের গোয়েন্দা তৎপরতায় গত বছরের ৭ নভেম্বর দুদকের একটি বিশেষ দল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের রাজ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে থেকে প্রতারক ফয়সল রানা ওরফে ফয়েজ উদ্দিনকে আটক করে। এ বিষয়ে রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর ২৪ জানুয়ারি রাজধানীর নয়াপল্টনের গোল্ডেন প্লেট রেস্টুরেন্ট এলাকা থেকে দুদক কর্মর্কতা পরিচয়দানকারী হাসান মুন্না ওরফে রফিককে আটক করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় মামলা হয়।

আবার দুদকের গোয়েন্দা ইইনিটের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ২ এবং ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেলের (এনটিএমসি) সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে আরেক ভুয়া দুদক কর্মকর্তা রাজু মিয়াকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে আটক করা  হয়। একইভাবে গোয়েন্দা ইউনিটের অভিযোগের ভিত্তিতে ২ ফেব্রুয়ারি এ যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া দুদক কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বাবুলকে ঢাকার হাজারীবাগ এলাকা থেকে আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি   অনুযায়ী কুমিল্লা থেকে ইয়াসিন নামে আরও এক ব্যক্তিকে আটক করা হয় বলে জানান প্রণব ভট্টাচার্য্য।

তিনি বলেন, প্রতারকদের আইনের অওতায় আনা একটি জটিল প্রক্রিয়া, যা   কমিশন নিরলসভাবে পরিচালনা করছে। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। কারণ দুদকের আইন অনুসারে কোনো একক ব্যক্তির অভিপ্রায় অনুসারে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার যেমন কোনো সুযোগ   নেই, তেমনি অভিযুক্ত হওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া কমিশনের কর্মকর্তাদের অভিযোগের অনুসন্ধান ও তদন্ত বিষয়ে শুধু চিঠির মাধ্যমেই   যোগাযোগের নির্দেশনা রয়েছে, টেলিফোন বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নয়। এ প্রেক্ষাপটে যদি কোনো ব্যক্তি কমিশনের কর্মকর্তা কিংবা কমিশনের ঊর্ধ্বতন   কর্তৃপক্ষের নাম ব্যবহার করে টেলিফোনের মাধ্যমে বা ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে  কমিশনের কর্মকর্তা বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের স্বজন পরিচয় দিয়ে অনৈতিক কোনো বিষয়ে তদবির বা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন, তাহলে এই ফোনের সত্যতা, ওই ব্যক্তির পরিচয়ের নিশ্চয়তা এবং প্রতিকার পাওয়ার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে দুদকের পরিচালক (গোয়েন্দা) মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী (মোবাইল  নং-  ০১৭১১-৬৪৪৬৭৫) অথবা উপ পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য (মোবাইল   নং- ০১৭১৬-৪৬৩২৭৬) এর সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৯
আরএম/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।