ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রেলযাত্রা: সাড়া মিলছে নিবন্ধনে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৯
রেলযাত্রা: সাড়া মিলছে নিবন্ধনে নিবন্ধন করতে কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের ভিড়, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করতে যাত্রীদের নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। সবাই নিবন্ধন করলে ট্রেনের কালো টিকিট আর মিলবে না এমন প্রত্যাশা রেল মন্ত্রণালয়ের।

অন্যদিকে নিবন্ধন করতে প্রথম দিকে যাত্রীদের মধ্যে সাড়া পাওয়া না গেলেও এখন বেশ উৎফুল্লভাবেই নিজ নিজ নিবন্ধন করতে দেখা গেছে তাদের। তবে একই কাউন্টারের নিবন্ধন ও টিকিট কাটতে যেয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের।

টিকিটের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

অনেকের দাবি নিবন্ধনের জন্য আলাদা কোনো ডেস্কের ব্যবস্থা করা হোক।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকা ঘুরে এ চিত্র উঠে এসেছে।

স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাস ধরে সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের টিকিট নিতে নিবন্ধন করার ব্যবস্থা চালু করা হয়। ক্রমেই সাড়া মেলায় গত ১১ মার্চ থেকে আরও ৮টি ট্রেনের নিবন্ধন সেবা চালু করা হয়। সবগুলোই দেওয়া শুরু হয়েছে ১০ দিন আগে থেকে বৃহস্পতিবার নিবন্ধন করে টিকিট দেওয়া হচ্ছে আগামী ২৩ মার্চের টিকিট।

 স্টেশন থেকেও টিকিট নিয়ে নিবন্ধন করা যাবে। আবার রেলওয়ের ওয়েবসাইটে ঢুকে নিবন্ধন করা যাবে। এক্ষেত্রে তাকে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও মোবাইল ফোন নম্বর দিতে হবে। একবার নিবন্ধিত হলে পরের বার শুধু মোবাইল নম্বর বলেই স্টেশন থেকে টিকিট কাটা যাবে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে প্রতিটি কাউন্টার থেকে একযোগে নিবন্ধন করা যাবে।

ঢাকা থেকে শুধু মহানগর প্রভাতি ও মহানগর গোধূলি ট্রেনের টিকিট পেতে নিবন্ধন করতে হবে। অন্যদিকে ঢাকা থেকে যাওয়া ও ঢাকায় আসার নিবন্ধন করা যাবে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস, পদ্মা এক্সপ্রেস, তূর্ণা এক্সপ্রেস এবং সূবর্ণ এক্সপ্রেসের।

শহিদুল নামে এক যাত্রী এসেছেন নিবন্ধন করতে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবার টিকিট নিতে এসে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়। দীর্ঘলাইনে অপেক্ষা করার পর জানতে পারি টিকিট শেষ। এবার নিবন্ধন হলে হয়তো নিজের টিকিট পাওয়া যাবে।

জহিরুল নামে আরেক যাত্রী অনলাইনে ই-সেবার মাধ্যমে নিবন্ধন করেছেন। এদিন তিনি টিকিট কাটতে এসেছেন।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, নিবন্ধন করে ঝামেলা শেষ হয়েছে এখন টিকিট পাওয়া যাবে কিনা দেখার বিষয়।

তিনি আরও বলেন, একই কাউন্টারে টিকিট ও নিবন্ধন একসঙ্গে চলায় দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে আলাদা ডেস্কে নিবন্ধন করার ব্যবস্থা করা হলে আরও সহজ হতো টিকিট নেওয়া ও নিবন্ধনে।

এ বিষয়ে কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার সীতাংসু চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, ট্রেনে কালোবাজারে একটি মহল টিকিট বিক্রি করে বলে অভিযোগ আছে। সেই কালোবাজারি রোধ করতে নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে নিজ নিজ ব্যক্তিই তার টিকিট নিতে পারবে। একবার নিবন্ধন হলে পরে যেকোনো সময় শুধু তার ফোন নম্বর কাউন্টারে বললেই টিকিট মিলবে।

তিনি বলেন, প্রথম দিকে যাত্রীদের অসুবিধা মনে হচ্ছিলো, অনেকেই নিবন্ধন করতে ইচ্ছা পোষন করেনি। এখন বেশ সাড়া মিলছে। দিনে প্রায় দুই হাজার নিবন্ধিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৯
ইএআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।