মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় নবীগঞ্জ শহরের হাজারী কমিউনিটি সেন্টারে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী স্থানীয় সুপরিচিত রাজমিস্ত্রিরা বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহার করে তাদের বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা ও নির্ভরতার কথা উল্লেখ করেন।
রাজমিস্ত্রী কিরণ সরকার বলেন, তার চারটি সাইটে বর্তমানে বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সাড়ে তিনশ’ ব্যাগ সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। এই সিমেন্ট খুবই ভাল। ভাল জমাট ধরে। অন্য সিমেন্ট ব্যবহার করে এ ধরনের স্বাচ্ছন্দ্য পাইনি।
রাজমিস্ত্রী আব্দুল হান্নান বলেন, বসুন্ধরা সিমেন্টের তুলনা হয় না। দু’টি সাইটে বর্তমানে সিমেন্ট ব্যবহার করছি। এর গুণগত মান যেমন উন্নত, তেমনি জমাট বাধে ভাল।
অনুষ্ঠানে স্থাপনা নির্মাণ কৌশল এবং নির্মাণ সংক্রান্ত বিভিন্ন পরামর্শ উপস্থাপন করেন নবীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, বসুন্ধরা সিমেন্ট অন্যান্য সিমেন্টের চেয়ে গুণগতভাবে ভাল হওয়ায় ঠিকাদারদের এই সিমেন্ট ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।
বসুন্ধরা সিমেন্টের পক্ষে বাড়ি নির্মাণ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপনা করেন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ইঞ্জিনিয়ার মারুফ বিল্লাহ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ধারাবাহিক গুণগত মানের জন্য বর্তমানে দেশের সবচেয়ে আইকনিক প্রকল্প পদ্মাসেতু নির্মাণ প্রকল্প, পদ্মাসেতু নদীশাসন প্রকল্প, পদ্মাসেতুর এপ্রোচ রোড, মেট্রোরেল প্রকল্প, ফাস্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মাতার বাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্প, পদ্মাসেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প, পায়রাসেতু প্রকল্প, কালনাসেতু প্রকল্প, সাসেক রোড প্রকল্প, ভুলতা ফ্লাইওভার প্রকল্প, কালশী ফ্লাইওভার প্রকল্প, রূপসা রেলসেতু প্রকল্প, রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের মতো বড় বড় স্থাপনাগুলোতে ব্যবহার হচ্ছে বসুন্ধরা সিমেন্ট।
অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা সিমেন্টের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- বসুন্ধরা সিমেন্টের সিলেট ডিভিশনের ডিএসএম মনিরুল ইসলাম, সিলেট এরিয়ার এএসএম মো. জহিরুল ইসলাম, বসুন্ধরা সিমেন্টের টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ইঞ্জিনিয়ার মারুফ বিল্লাহসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
র্যাফেল ড্র, উপহার বিতরণ এবং বিভিন্ন আয়োজন শেষে আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৯
আরএ
.jpg)
