ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলব খুঁজতে কমিশন চান শেখ সেলিম

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৬ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯
বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলব খুঁজতে কমিশন চান শেখ সেলিম শেখ ফজলুল করিম সেলিম

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা জড়িত ছিলো তাদেরও চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য একটি কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। 

রোববার (১০ মার্চ) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান।  

এর আগে দুপুরে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।

শেখ সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর কতগুলো হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সেনাবাহিনীতে যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, কেন হয়েছে, কিসের জন্য হয়েছে, কারা করেছে, এদের খুঁজে বের করতে একটা কমিশন গঠন করা হোক। বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে কারা কারা জড়িত ছিল তাদের চিহ্নিত করতে কমিশন করতে হবে, জড়িতদের বিচার করা হোক।  

তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ফাইভ স্টার হোটেলের মতো জায়গায় রাখা হয়েছে। তাকে সব ধরনের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসার সঙ্গে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তুলনা করা হচ্ছে। খালেদা জিয়া তো চোর, ওবায়দুল কাদের তো চোর না। দুনীতির দায়ে খালেদা জিয়ার সাজা হয়েছে। ওবায়দুল কাদের আর খালেদা জিয়া এক না। ’

শেখ সেলিম বলেন, ড. কামাল হোসেন গণতন্ত্র, গণতন্ত্র বলে চিৎকার করছেন, আহা গণতন্ত্রের জন্য তার কী দরদ। এই ড. কামাল হোসেন একজন সুযোগ সন্ধানী। তিনি ওয়ান ইলেভেনের সরকারকে বলেছিলেন- ২ বছরের বেশি থাকতে পারবে? 

‘খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। তিনি একজন আইনজীবী অথচ এতিমের টাকা যে খালেদা জিয়া চুরি করে খেয়েছেন, এর দায়ে আদালতে তার সাজা হয়েছে। সেই খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন, ড. কামাল হোসেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ড. কামাল হোসেনকে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা অনুরোধ করেছিলেন- একটি বিবৃতি দিতে। তিনি তখন বিবৃতি দেননি। তখন হুদা-কামাল সামনা সামনি বসে পানীয় জাতীয় কী যেন খাচ্ছিলেন, আমার কাছে ছবি আছে। তারা যে বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, সেটা কীভাবে বলা যায়। ’
 
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ‘খালেদা জিয়া ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর হত্যার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করেন। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, জঙ্গি, বাংলা ভাই, হরকাতুল জিহাদ, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সৃষ্টি করে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। খালেদা জিয়ার পরিকল্পনা ছাড়া এই হামলা হতে পারে না। ’ 

সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, বিএনপির আমলে বাজেটের সময় তখনকার অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ এর কাছে ছুটোছুটি করতেন। এখন বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ এর কাছে ছুটতে হয় না। কারো কাছে হাত পাততে হয় না। আজ আমাদের ১০টি পদ্মাসেতু নির্মাণ করার ক্ষমতা আছে।  

তিনি বলেন, গত নির্বাচনে বিএনপি এসেছিল কিন্তু তারা নির্বাচন করার জন্য আসেনি। তারা এসেছিল নির্বাচনকে বানচাল করার জন্যে; নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যে। তারা নির্বাচনে প্রচারে নামেনি, ভোট কেন্দ্রে যায়নি। কিভাবে নির্বাচনকে বিতর্কিত করা যায় সেই চেষ্টা করেছে। নির্বাচনের দিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ভোটগ্রহণ দেখতে গিয়েছিলেন। তিনি দেখেছেন জনগণ ভোট দিচ্ছেন, তিনি তাদের সঙ্গে সেলফি তুলেছেন। কেউ নির্বাচনে অনিয়মের কথা বলেনি। শুধু বিএনপি ও ড. কামাল হোসেন বলেন।  

‘আরেকজন তারেক; যে কিনা মুছলেকা দিয়ে দেশের বাইরে গিয়েছিল আর রাজনীতি করবে না বলে। সে এখন লন্ডনে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এই অপরাধীকে অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে আনুন। ’
 
সংসদ সদস্য শেখ সেলিম বলেন, আজ স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতের ক্ষমতা চাওয়ার কথা উঠেছে। এদের কোনো ক্ষমা নেই। বিএনপিরও কোনো ক্ষমা নেই। জামাযাত-বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধী, এদের ক্ষমা নেই। স্বাধীনতা বিরোধী এই বিএনপি-জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৯ 
এসকে /এমইউএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।