ঢাকা: আন্দোলনরত শ্রমিক কর্মচারীদের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাকিউল ইসলাম।
মঙ্গলবার বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন ও পেনশন পুনর্বহালের দাবিতে বিমানের কর্মচারী-শ্রমিকরা সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টায় পর্যন্ত এমডিকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে সংস্থার বিভিন্ন ইউনিয়ন/সংগঠনের নেতাদের আলোচনা করে আন্দোলনকারীদের সব দাবি মেনে নিয়ে একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন এমডি।
আন্দোলনকারীদের দাবির মধ্যে রয়েছে- গত শনিবার বোর্ড সভায় অনুমোদিত বেতন কাঠামোর বাস্তবায়ন বন্ধ ঘোষণা, পেনশন পদ্ধতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বাতিল করে ১৯৮৮ সালের বিধান অনুযায়ী চলতি পেনশন পদ্ধতি চালু রাখা, ২০০৯ সালের বেতন বৃদ্ধির শতকরা হার অনুযায়ী বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা, এ অনুযায়ী নির্ধারিত নতুন বেতন কাঠামো ২০০৯ সালের জুলাই থেকে বাস্তবায়ন করা, ও পরিচালনা পর্ষদের ৩৩তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্পেশাল অ্যালাউন্স (ইনটেরিম রিলিফ) নতুন বেতনের সঙ্গে সমন্বয় করা।
এরই মধ্যে কোম্পানি সেক্রেটারি আবদুর রশিদের গৃহীত পদত্যাগপত্র কর্তৃপক্ষকে বাস্তবায়ন করতে হবে। সেইসঙ্গে ভবিষ্যতে কোনো অবস্থাতেই তাকে পুনরায় বিমানে নিয়োগ দেওয়া চলবে না।
এসব দাবি শর্তহীনভাবে মেনে নিয়ে তা আগামী বৃহস্পতিবার বোর্ড সভায় অনুমোদন করবেন বলে সম্মত হন এমডি।
সমঝোতা ম্মারকে বিমানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিউল ইসলাম স্বাক্ষর করেন।
আন্দোলনকারীদের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বিমান শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি এবাদুর রহমান, সোসাইটি অব এয়ারক্রাফট ইঞ্জিনিয়ার্স অব বিমান (এসএইবি)’র সভাপতি এবিএম আকতারুজ্জামান, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি ফিরোজ-উজ-জামান, বাংলাদশ বিমান ফাইট সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন অব কেবিন ক্রু’র নেতা মুইনুল ইসলাম তপু, বিমান এমপ্লইয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ) সভাপতি কেএম শাহ আলম।
অন্যদিকে সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেন বিমানের পরিচালক (প্রশাসন) আমিনুল হক, পরিচালক (পরিকল্পনা) মোসাদ্দেক হোসেন, পরিচালক অর্থ ও বিমান অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সদস্য আবুল কাশেম।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১০