ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

মুখমণ্ডল-গাড়ির নম্বরপ্লেট শনাক্তে কাজ করছে সিগমাইন্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৯
মুখমণ্ডল-গাড়ির নম্বরপ্লেট শনাক্তে কাজ করছে সিগমাইন্ড মুখমণ্ডল-গাড়ির নম্বরপ্লেট শনাক্তে কাজ করছে সিগমাইন্ড

ঢাকা: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে এখন খুব সহজেই মুখমণ্ডল ও গাড়ির নম্বরপ্লেট শনাক্ত করা যাবে। মূলত ওয়াচক্যামের ফুটেজ অ্যানালাইসিস সফটওয়ারের মাধ্যমে স্বল্পতম সময়ে ফুটেজে অবস্থানরত প্রতিটি গাড়ির নম্বরপ্লেট এবং প্রতিটি ব্যক্তির মুখমণ্ডলের ছবি পাওয়া যাবে। এভাবেই কোনো অপরাধীকে খুব সহজেই শনাক্ত করা যাবে।

নিরাপদ শহর নিশ্চিত করতে শনাক্তকরণ কাজটি করে যাচ্ছে দেশীয় স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠান সিগমাইন্ড প্রাইভেট লিমিটেড। দেশের কয়েকজন তরুণ প্রযুক্তিভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনা করতেই গড়ে তুলেছে এ কোম্পানিটি।

 

বর্তমানে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত জনতা টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে কোম্পানিটি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।  

যেভাবে কাজ করে সিগমাইন্ডের ওয়াচক্যাম

মূলত ফুটেজ অ্যানালাইসিস সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বল্পতম সময়ে ফুটেজে অবস্থানরত প্রতিটি গাড়ির নম্বরপ্লেট এবং প্রতিটি ব্যক্তির মুখমণ্ডলের ছবি পাওয়া যাবে। প্রাপ্ত গাড়ির নম্বরপ্লেট অথবা মুখমণ্ডলের ছবি প্রবেশ করানো হবে সিগমাইন্ড ওয়াচক্যাম সফটওয়ারে, যেখানে ছবিগুলোর হাই রেজ্যুলেশন ইমেজ তৈরি হবে।  

এরপর সফটওয়ারটির আওতায় সংযুক্ত প্রতিটি ক্যামেরা বিশ্লেষণ করে নির্দিষ্ট গাড়িটির নম্বরপ্লেট অথবা ব্যক্তিকে খোঁজা শুরু করবে। ব্যক্তিকে কোথায় কোথায় দেখা গিয়েছিল এবং যদি রিয়েল টাইমে দেখা যায় তা শনাক্ত করে ওই ব্যক্তি বা গাড়ির বর্তমান অবস্থানের ম্যাপ লোকেশনসহ নিমিষেই নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক করে দেবে।  

ইতোমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি সংস্থা এ সফটওয়্যার ব্যবহার করেছে। এছাড়া দেশের বাইরে এ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে স্টার্ট-আপটি।  

সিগমাইন্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আবু আনাস শুভম বলেন, যদি মানুষকে মুখমণ্ডল দিয়ে এবং যানবাহনকে নম্বরপ্লেট দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করা যায়, তাহলে ৯০ শতাংশ অপরাধ সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এছাড়া আমাদের এ প্রযুক্তি রাস্তায় বসানো শত শত ক্যামেরার সঙ্গে সংযুক্ত করে দিলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোর মনিটরিং সেলের লোকবল অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব। আর এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুবই অল্প সময়ে ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে তার ফলাফল প্রকাশ করতে সক্ষম হবে।  

সিগমাইন্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর তাবাসসুম জানান, বর্তমান সরকার প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছে। এখন দরকার দেশের সফটওয়ার শিল্পকে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপনের জন্য প্রথমে নিজেদের এ সফটওয়ার ব্যবহার করা। যখন বৈদেশিক ক্রেতারা দেখবেন যে এ ধরনের সফটওয়ার একটি দেশের নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবহার করছে তখন বিশ্বাসযোগ্যতা বহুগুণে বাড়বে এবং তারাও এটি ব্যবহার করতে আগ্রহী হবেন।

সিগমাইন্ডের প্রধান বিপণন ও বাজারজাতকরণ কর্মকর্তা আরিফ হুসাইন জানান, বিভিন্ন আবাসন, অ্যাপার্টমেন্ট, গার্মেন্টস, হাসপাতাল, ব্যাংক, অফিস ইত্যাদিতে নিরাপত্তা সর্বোচ্চ করার জন্য ওয়াচক্যাম জোরালো ভূমিকা পালন করবে।

বাংলাদেশ সময়: ০২৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৯
আরআর/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।