ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চ্যানেল নাইন: হঠাৎ করে বার্তা বিভাগ বন্ধ করা সমীচীন নয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০১৯
চ্যানেল নাইন: হঠাৎ করে বার্তা বিভাগ বন্ধ করা সমীচীন নয় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ/ফাইল ফটো

ঢাকা: ‘আমি চাই টেলিভিশনগুলোতে যারা কাজ করে সেই সাংবাদিকদের সুরক্ষা বজায় থাকুক। লক্ষ্য করছি, অনেক টেলিভিশনের আয় ও ব্যয়ের মধ্যে বিরাট ফারাক। তাদের আয় যাতে বাড়ে, আমাদের দেশের বিজ্ঞাপনগুলো যেন বিদেশে চলে না যায়, সে নিয়ে কাজ করছি। ধীরে ধীরে এক্ষেত্রে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। হঠাৎ করে কোনো বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া সমীচীন নয়।

চ্যানেল নাইনের বার্তা বিভাগ বন্ধ হওয়া সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।

বুধবার (০৬ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁও তথ্য কমিশনে ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় তথ্য আইনের ব্যবহার’ শীর্ষক কর্মশালা উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, এক্ষেত্রে যথেষ্ট সময় দেওয়া প্রয়োজন। সেখানে যারা কাজ করে তাদের সংসার আছে, তাদের রুজির ব্যাপার আছে। কোনো কারণে যদি বন্ধ করতে হয় নিয়ম অনুযায়ী তাদের কয়েক মাসের বেতন দিতে হয়। প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ, তথ্যসচিব আবদুল মালেক, তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম এনডিসি ও নেপাল চন্দ্র সরকার এসময় উপস্থিত ছিলেন।

পরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মার্কিন কংগ্রেসে গতকাল উত্থাপিত প্রস্তাবনায় জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের নিয়ে যুক্ত সংগঠনগুলোর সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্পর্ক ছিন্ন এবং একইসঙ্গে সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। আশাকরি, মার্কিন কংগ্রেসের এই প্রস্তাবের পর বিএনপি শিগগির জামায়াতের সঙ্গে তাদের সকল সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বলে ঘোষণা দেবে এবং তাদের সঙ্গে জোট করে যে সরকার গঠন করেছে, তার জন্য জাতি এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাইবে।

তথ্যমন্ত্রী এসময় প্রস্তাবনার মূল অংশকে উদ্ধৃত করে বলেন, মার্কিন কংগ্রেসের প্রস্তাবনায় বিএনপিকেও জামায়াতের সঙ্গে সব সর্ম্পক ছিন্ন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এতোদিন যে আহ্বান জানিয়ে আসছিলাম, সেটিই মার্কিন কংগ্রেসের প্রস্তাবনায় প্রতিধ্বনিত হয়েছে। জামায়াতের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা হচ্ছে বিএনপি। জামায়াতের সঙ্গে জোট গঠন করে তারা নির্বাচন করেছে, সরকার গঠন করেছে। এখনও তাদের ২২ দলীয় জোটের মধ্যে জামায়াত আছে।

এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে জামায়াতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হয়েছে এবং জামায়াত নিষিদ্ধ করার বিষয়টি আদালতে প্রক্রিয়াধীন। সেইসঙ্গে তাদের সঙ্গে যুক্ত জঙ্গি তৎপরতায় লিপ্ত সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধেও ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- উল্লেখ করে মন্ত্রী আক্ষেপ নিয়ে বলেন, কিন্তু দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি যখন জামায়াতের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা হয়, তাদের জোটের মধ্যে যখন জামায়াত থাকে, তখন তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।

আমি আশা করবো, মার্কিন কংগ্রেসের এই প্রস্তাবের পর বিএনপি অতি শিগগির জামায়াতের সঙ্গে তাদের সকল সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বলে ঘোষণা দেবে এবং তাদের সঙ্গে জোট করে সরকার যে গঠন করেছে, সেজন্য জাতি এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাইবে, বলেন ড. হাছান।

বিএনপি চেয়ারপাসনের চিকিৎসার বিষয়ে সাংবাদিকদের অপর প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতা। দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দলের চেয়ারপারসন। উপমহাদেশের সকল রীতিনীতি ভঙ্গ করে আদালতের বিশেষ বিবেচনায় কারাগারে সর্বোচ্চ সুবিধা তাকে দেওয়া হয়েছে। এমনকি গৃহপরিচারিকার সুবিধাও দেওয়া হয়েছে। যা ব্রিটিশ, পাকিস্তান বা বাংলাদেশের কোনো আমলে হয়নি। ’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া রাজবন্দি নন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তারপরও রাজবন্দিদের বেলাতেও যা হয় না, তার বেলায় সেই সুবিধাগুলো দেওয়া হচ্ছে। সার্বক্ষণিক ডাক্তার, নার্স, ফিজিওথেরাপিস্ট সবই রয়েছে তার জন্য।


তারপরও বিএনপি নেতারা ক’দিন পরপরই খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা বলেন। কিন্তু তার এ অসুস্থতা তো নতুন নয়- উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অসুস্থতা নিয়েই তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এই অসুস্থতা নিয়েই খালেদা জিয়া বিরোধী দলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেছেন। এই অসুস্থতা নিয়েই তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৯
এমআইএইচ/টিএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।