টাঙ্গাইল: সিরাজগঞ্জ ও পাবনার পর এবার টাঙ্গাইলে ঘাটাইলে পাওয়া গেল ১৪ অ্যানথ্রাক্স রোগীর সন্ধান। আক্রান্তদের বাড়িতে রেখেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সাইফুল মালেক এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত এপ্রিল মাসে একই উপজেলার গালা গ্রামে ১২ জন, টেলিপাড়া গোয়াল গন্ধা গ্রামে ৯ জন ও কোচবাড়ী গ্রামে ৫জন সহ মোট ২৫ জন অ্যানথাক্স আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল।
ঘাটাইল উপজেলার দিঘলকান্দি ইউনিয়নের কুরমুশি গ্রামের আব্দুল লতিফ গত ১৯ আগস্ট ভুয়াপুরের গোবিন্দাসী গরুর হাট থেকে একটি গরু কেনেন। ২৩ আগস্ট গরুটি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় গরুটি জবাই করা হয়। এরপর থেকেই গরুর মাংস কাটা ও ধোঁয়ার কাজে সম্পৃক্তদের শরীরের বিভিন্ন অংশে ঘা হতে শুরু করে।
খবর পেয়ে ওই গ্রাম পরিদর্শনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা। তারা প্রাথমিকভাবে এটিকে অ্যানথ্রাক্স রোগ হিসেবে শনাক্ত করেন।
আক্রান্ত ওই ১৪ জন হলেন- কুরমুশি গ্রামের হারুন অর রশিদ (৩০), খলিলুর রহমান (৩৫), বিপ্লব মিয়া (১৫), আব্দুল কাদের (৩৫), আব্দুস সালাম (৪০), রফিকুল ইসলাম (৩০), সুমন মিয়া (২০), রাসেল হোসেন (২৫), কদভানু (৫৫), রহিমা বেগম (৩৫), হাসি (৭), জিহাদ (৪), সাবিনা ইয়াসমিন (১৫) ও আবদুল হাকিম (৩০)।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বলেন, ‘ঘাটাইল উপজেলায় অ্যানথাক্স সংক্রমণের খবর পেয়ে আমাদের বিশেষজ্ঞ দল আক্রান্ত এলাকায় পাঠানো হয়। তাদের পরিদর্শন প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১০