ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

থানার মেস খরচের নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪০ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০১৯
থানার মেস খরচের নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ ম্যাপ

গাজীপুর: গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানার মেস খরচের কথা বলে পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোনাবাড়ী থানাধীন একাধিক ভাঙারি ব্যবসায়ীর অভিযোগ—থানার মেস খরচের কথা বলে প্রত্যেক ভাঙারি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মাসিক হারে চাঁদা আদায় করছে পুলিশ। সময়মতো চাঁদা দিতে না পারলে ফোন করে হেনস্থা করেন কোনাবাড়ী থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) কলিন্দ্র নাথ গোলদার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী থানাধীন কলেজ গেট, বাইমাইল পুকুরপাড়, আমবাগ ও দেওয়ালিয়াবাড়িসহ আশপাশের এলাকায় প্রায় ৫০-৬০টি ভাঙারির দোকান ও গুদামঘর। তাতে বিভিন্ন জিনিসপত্রের ভাঙা অংশ ও পণ্য গুদাম করে রাখা হয়েছে।

প্রতিটি দোকানের ভাড়া ৭ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা।  

মাস শেষে অতিরিক্ত টাকা পুলিশি চাঁদার জন্য রাখতে হয় বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। দোকান ভেদে চাঁদার পরিমাণ ৫শ’ থেকে সর্বোচ্চ ১৫শ’ টাকা পর্যন্ত। ছোট দোকানে ৫শ’, মাঝারি দোকানে ১ হাজার আর বড় দোকান হলে ১৫শ’ টাকা চাঁদা দিতে হয় বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী বলেন, “ভাঙারির ব্যবসা করে যে টাকা পাই তা দিয়ে দোকান খরচ বাদ দিয়ে কোনোরকমে সংসার চলে। পুলিশকে চাঁদা দেওয়া আমাদের জন্য অত্যাচার। মাস শেষ হলেই পুলিশ টাকার জন্য ফোন দেয়। কোনো কারণে টাকা দিতে দেরি হলে খারাপ ব্যবহার করে। ”

এলাকার একজন পুরনো ভাঙারি ব্যবসায়ী বলেন, “পুলিশের কাজ চাঁদাবাজি বন্ধ করা। কিন্তু পুলিশ নিজেই চাঁদবাজি করে। আমরা কেউ টাকা দিতে না পারলে নানাভাবে হেনস্তা করে। এমনকি বিভিন্ন সময় গালি পর্যন্ত দেয়। সব দোকানদার এসব মুখ বুঝে সহ্য করে। কেউ ভয়ে প্রতিবাদ করে না। ”

জানা যায়, টাকা তোলার পুরো কাজটি তত্ত্বাবধান করেন কোনাবাড়ী থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) কলিন্দ্র নাথ গোলদার। জাহাঙ্গীর, আসাদ, শহিদুলসহ আরো কয়েকজন ভাঙারি ব্যবসায়ীর মাধ্যমে প্রত্যেক দোকান থেকে চাঁদা তুলে নেন তিনি। কেউ টাকা দিতে না চাইলে কলিন্দ্র নাথ নিজেই ফোন দিয়ে হেনস্তা করেন। ওসি তদন্ত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসে প্রায় ১ লাখ টাকার চাঁদা উত্তোলন করেন বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।

এ ব্যাপারে জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে কোনাবাড়ী থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) কলিন্দ্র নাথ গোলদার বলেন, আপনারা তদন্ত করে দেখেন। এরপর আর কোনো কথা না বলে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৯
আরএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।