ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অন্য জেলার মাদকের গডফাদাররা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২০ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০১৯
অন্য জেলার মাদকের গডফাদাররা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়

ময়মনসিংহ: কক্সবাজারের মতো অন্য কয়েকটি জেলাতেও মাদকের গডফাদাররা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। 

তিনি বলেন, মাদকব্যবসায়ী বা গডফাদাররা অনুতপ্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায়।

‘পরবর্তীতে আরো কয়েকটি জেলায় আমরা আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান করবো।

আমরা বার্তা দিতে চাই, যারা মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন বা গডফাদারই হোন, কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। সরকার আপনাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ দিয়েছে। সে সুযোগ আপনাদের দেওয়া হচ্ছে। ’ 

সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে শহরের পুলিশ অফিসার্স মেস-১’র জেলা পুলিশের ৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।  

এসময় পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি, অতিরিক্ত ডিআইজি ড. আক্কাছ উদ্দিন ভূঞা, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ আবিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

মাদক ছেড়ে কেউ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাইলে তাদের সে সুযোগ দেওয়ার কথা জানিয়ে আইজিপি বলেন, মাদকব্যবসায়ীদের আত্নসমর্পণ অনুষ্ঠানের জন্য আমরা কক্সবাজার গিয়েছিলাম। সেখানে ১০২ জনের মতো মাদকব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আমি সেখানে ছিলাম। আমরা সেখানেও আহ্বান জানিয়েছি, প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, কেউ মাদক ব্যবসা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে আসতে চাইলে তাদের আমরা সে সুযোগ দিয়েছি।

মাদকব্যবসায়ী বা গডফাদাররা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে না এলে পরিণত হবে ভয়ঙ্কর এমন ইঙ্গিত পাওয়া যায় আইজিপির কাছ থেকে।  

তিনি বলেন, মাদকব্যবসায়ীরা যদি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে না আসেন, তাহলে কঠোরতম যে ব্যবস্থা রয়েছে আমরা সে জায়গাতেই যাবো। যতদিন পর্যন্ত আমরা যুদ্ধে জয়ী না হই, ততদিন পর্যন্ত মাদকবিরোধী অভিযান চলমান থাকবে।

মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর শূন্য সহিষ্ণুতা নীতির (জিরো টলারেন্স) অবস্থান জানিয়ে জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী মাদক এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে গত এক বছরের ওপরে বাংলাদেশ পুলিশ জিরো টলারেন্স অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে।  

মাদকের পাশাপাশি জঙ্গিবিরোধী অভিযানও চলছে জানিয়ে আইজিপি বলেন, আপনারা দেখেছেন, বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রম চলছে। এ অভিযান থেমে নেই। এ ব্যাপারেও আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স।  

‘আমরা বাংলাদেশকে একটি নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন আমাদের দেখিয়েছেন, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন, সে স্বপ্ন এখন বাস্তবায়নের পথে। ’

আইজিপি ময়মনসিংহে পুলিশ সুপার (এসপি) অফিসের বহুতল ভবন, পুলিশ লাইন্স ব্যারাক ভবন-২, পুলিশ অফিসার্স মেস-১ ও পারফরম্যান্স ইভালুয়েশন সফটওয়্যার উদ্বোধন করেন।  

আইজিপি ১২ কোটি ৭ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ব্যয়ে পুলিশ অফিসার মেস থেকে ২ কোটি ৯৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ব্যয়ে পুলিশ টেলিকম ভবন, ১ কোটি ১৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ব্যয়ে পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কোয়ার্টার, ১ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে পাগলা থানার অফিসার্স ডরমেটরি, ৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ব্যয়ে পুলিশ লাইন্সে মাল্টি পারপাস ড্রিল শেড এবং ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে পুলিশ হাসপাতাল ডরমেটরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।  

পরে আইজিপি ময়মনসিংহ জেলা ও রেঞ্জ পুলিশের বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধন শেষে জেলার বার্ষিক পুলিশ সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ করবেন। সন্ধ্যায় তিনি পুনাক ময়মনসিংহের আয়োজনে পুলিশ পরিবারের কৃতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করবেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৯
এমএএএম/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।