বিএসএমএমইউ’র কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সোমবার (৪ মার্চ) ভোর থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রাজনৈতিক নেতা, ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটেটিভসহ গণমাধ্যম কর্মীদের বিএসএমএমইউ’র ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
অন্যদিকে ডি-ব্লকের সিসিইউতে রয়েছে পর্যাপ্ত পুলিশ। রাখা হয়েছে একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্স। ডি-ব্লকের পূর্ব গেট দিয়ে শুধু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা হাসপাতালে নিয়োজিতরা প্রবেশ করছেন। আর পশ্চিম গেট দিয়ে রোগী-সাধারণদের জন্য উন্মুক্ত রাখা আছে। সোমবার সরেজমিন ঘুরে এ চিত্র উঠে এসেছে।
বিএসএমএমইউর মেইন গেটে সকাল থেকে পর্যাপ্ত পুলিশ মেতায়েন করা হয়েছে। পরিচয় জেনে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। একই অবস্থা রয়েছে হাসপাতালের পশ্চিম গেটেও। তবে কোনো দর্শনার্থী, সাংবাদিক, ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটেটিভদের প্রবেশে বিধিনিষেধ রয়েছে।
তবে হাসপাতালের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। বহির্বিভাগ-১ ও বহির্বিভাগ-২-এ টিকিট কাটতে রোগীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। তাছাড়া কেবিন ব্লক ও সি-ব্লকের কার্যক্রম চলছে শিডিউল অনুসারে।
বিএসএমএমইউ হাসপাতালে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ কর্মকর্তা ইসমাইল জানান, আমরা সকাল ৭টা থেকে দায়িত্ব পালন করছি। হাসপাতালে কোনো বহিরাগত যেন প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য আমরা আছি।
এর আগে সকালে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, তার অবস্থা একটু উন্নতির দিকে। আউটপুট ভালো, প্রেসারও ভালো।
রোববার ভোরে ফজরের নামাজের পর হঠাৎ শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দিলে ওবায়দুল কাদেরকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। প্রথমে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হলেও পরে হাসপাতালের সিসিইউ’র ২ নম্বর বেডে রাখা হয় তাকে। এনজিওগ্রাম করে কাদেরের হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৯
এজেডএস/এমএএম/ইএআর/আরআর