লালমনিরহাটঃ তিস্তার প্রবল স্রোতে সোমবার রাতে ধসে গেছে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার চন্ডিমারী গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ-১। ফলে ওই বাঁধের আওতাধীন কয়েক’শ পরিবার গৃহহীণ হয়ে পড়েছে।
এদিকে নদী ভাঙ্গনের মাত্রাও তীব্র আকার ধারণ করেছে। সোমবার সকালে আদিতমারী উপজেলার তিস্তা নদীর উপকুলীয় কয়েকটি গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। সোমবার রাতে চন্ডিমারী গ্রামে সোয়া ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, স্পার বাঁধ-১ এর অর্ধেক অংশ নদী গর্ভে ধসে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ২০০৩/০৪ইং অর্থ বছরে আদিতমারীর মহিষখোঁচা ইউনিয়নের চন্ডিমারী গ্রামে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ -১ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু চলতি বর্ষা মৌসুমের আগে সংস্কারের অভাবে এ বাঁধটির মাঝের অংশে সিসি ব্লক ও জিও কাপড় নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এবং তিস্তার প্রবল স্রোতে সোমবার রাতে হঠাৎ এ বাঁধটির একাংশ ধসে পড়ে। এলাকাবাসী স্বেচ্ছা শ্রমে বাঁধ রার চেষ্টা চালিয়েও তা রা করতে পারেনি।
খবর পেয়ে পাউবোর প্রকৌশলীরা ৫ হাজার বালুর বস্তা ও ৫ হাজার জিও ব্যাগ দিয়ে বাঁধটি রার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু তাদের এ চেষ্ঠাও সফল হয়নি।
চন্ডিমারী গ্রামবাসীর অভিযোগ, পাউবো কর্মকর্তাদের অবহেলা ও নিম্নমানের ব্লক দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোঃ মোখলেছুর রহমান, পাউবো রংপুর অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী ও লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী বাঁধটি পরিদর্শন করেছেন।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ হাসান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন,‘ বাধটি রা করতেই হবে। এটা করা না গেলে ওই ইউনিয়নের কয়েক হাজার লোকের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। ’
পাউবো’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, বাঁধ দুটিতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। তিস্তার প্রবল স্রোতের কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১০