ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বিনোদনকেন্দ্র হচ্ছে রাজশাহীর পদ্মার তীরে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০১৯
বিনোদনকেন্দ্র হচ্ছে রাজশাহীর পদ্মার তীরে চায়না প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মিটিংয়ে মেয়র লিটন

রাজশাহী: রাজশাহীর বিভিন্নখাতে ব্যাপক উন্নয়নে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সার্বিক সহযোগিতায় মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে চীনের বৃহত্তর কোম্পানি পাওয়ার চায়না। এ বিষয়ে রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে কোম্পানিটির একটি প্রতিনিধিদলের পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরভবনের মিনি কনফারেন্স কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী দুপুরে পাওয়ার চায়না কোম্পানির বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হান কুনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নগরভবনে যান।

এরপর তারা সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে সভায় মিলিত হন। এতে রাজশাহীর উন্নয়নে নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আলোচনা হয়।  

সভায় জানানো হয়, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সার্বিক সহযোগিতায় মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে চায়নার বৃহত্তর কোম্পানি পাওয়ার চায়না। মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী, পদ্মা নদীর ধারে শহররক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে সেখানে গড়ে তোলা হবে বিনোদনকেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থাপনা। রাজশাহীতে জেনারেল ও স্পেশালাইজ হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। হযরত শাহ মখদুম বিমানবন্দর সম্প্রসারণ এবং অবকাঠামো উন্নয়ন ও টেকনিক্যাল সুবিধা বাড়ানো হবে। উন্নয়ন করা হবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার। নগর পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে। এরমধ্যে গণপরিবহন, রাস্তা, রাস্তার আলোকায়ন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভার করা হবে।

আলোচনার মাধ্যমে মাস্টারপ্ল্যানের বাইরেও বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।  

রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, গত ২৩ জানুয়ারি বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জ্যুয়ো রাজশাহীতে এসে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন।  

এরপর তিনি চীনের বৃহত্তর একটি কোম্পানি পাওয়ার চায়নাকে তার কাছে পাঠান। গত ৩১ জানুয়ারি কোম্পানিটির সঙ্গে তারা প্রথম সভা করেন। ওই সময় রাজশাহীর উন্নয়নের জন্য তাদের অনেকগুলো প্রস্তাব দিয়েছিলেন মেয়র।  

তারাও মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে রাজশাহীর উন্নয়ন করা হবে। রাজশাহী সিটি করপোরেশন তাদের সার্বিক সহযোগিতা করবে। তারা অর্থসহ সবকিছু বিনিয়োগ করবে।  

মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আশা প্রকাশ করে বলেন, যে মাস্টারপ্ল্যান হচ্ছে, সেটা বাস্তবায়ন হলে পুরো রাজশাহীর ব্যাপক উন্নয়ন হবে।

তিনি বলেন, এই মাস্টারপ্ল্যানের পাশাপাশি আরও অনেক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। রাজশাহীবাসীকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলাম, সেটাও বাস্তবায়ন হবে। আশা করছি আমরা ভালোভাবে কাজ শুরু করতে পারবো।

সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক জানান, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রাসিক, অন্যান্য সহযোগী সংস্থা ও পাওয়ার চায়নার সমন্বয়ে গঠন করা হবে একটি কমিটি। এরপর পাওয়ার চায়নার সঙ্গে আবারও আলোচনা করা হবে। পরে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হবে।

সভায় পাওয়ার চায়না প্রতিনিধিদলের মি. অ্যান্ডুসনহ অন্যরা অংশ নেন। আলোচনা সভায় সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আজাহার আলী, সচিব রেজাউল করিম, প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহানা আখতার জাহান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাসার, নির্বাহী প্রকৌশলী রেয়াজেত হোসেনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
এসএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।