ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ওষুধের মান সুরক্ষার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯
ওষুধের মান সুরক্ষার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর একনেক সভার নিয়মিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা: বাংলাদেশের ওষুধ উন্নত দেশে প্রবেশ করেছে। সে কারণে ওষুধের মান সুরক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের ওষুধ উন্নত দেশে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশের ওষুধের সুনাম বিশ্বজুড়ে। তাই ‍ওষুধের মান সুরক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

৭৯৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘গোপালগঞ্জে এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড’র তৃতীয় শাখা কারখানা স্থাপন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় সংশ্লিষ্টদের প্রধানমন্ত্রী এমন নির্দেশনা দেন।

একনেকের বুধবারের সভায় ‘ফেনী-নোয়াখালী জাতীয় মহাসড়কের মহিপাল থেকে চৌমুহনী পূর্বা বাজার পযর্ন্ত’ ফোরলেন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৭৪৭ কোটি টাকা।  

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে যতোটি মহাসড়ক আছে তার পাশে ড্রেন ও খাল থাকতে হবে। মহাসড়কের কিছু দূরে দূরে বাস-বে অথবা ট্রাক-বে থাকবে। এছাড়াও চালকদের বিশ্রামের জায়গাসহ যাত্রীদের ফ্রেশ রুমসহ গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাসিলিটি থাকতে হবে।
 
‘মিরসরাইয়ে ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল নিমিত্ত ভূমি অধিগ্রহণ' প্রকল্পটি ৮৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রসঙ্গে সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনবসতি জমি ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে হবে। মানুষের ঘড়বাড়ি নষ্ট করে কোনো অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হবে না।
 
একনেক সভায় ১২ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকার ব্যয় করবে ৯ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা।

অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে বড়পুকুরিয়া-বগুড়া-কালিয়াকৈর ৪০০ কেভি লাইন স্থাপন প্রকল্প, মোট ব্যয় ৩ হাজার ৩২২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।   ১ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে  বরিশাল পটুয়াখালী মহাসড়কে পায়রা নদীর উপর পায়রা সেতু (লেবুখালী সেতু) নির্মাণ, প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মোংলা বন্দরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্রপাতি/সরঞ্জাম সংগ্রহ প্রকল্পে খরচ হবে ৪৩৫ কোটি টাকা। ঢাকা শহরে ডাক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্প, এতে খরচ হবে ৩৭৬ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলমগ্নতা/জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশন উন্নয়ন, যাতে খরচ হবে ১ হাজার ৬২০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
 
আর ৩০২ কোটি ব্যয়ে ‘কুড়িগ্রামের চিলমারী ও উলিপুর উপজেলায় ব্রক্ষ্মপুত্র নদের ডানতীরে ভাঙ্গনরোধ, ‘সোনাগাজী ও মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল সংযোগ সড়কে ফেনী নদীর উপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প’ ৬৬২ কোটি টাকায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।  আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পে ব্যয় ২৬৯ কোটি, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের ৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের সক্ষমতা বৃদ্ধি, যাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৩৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯
এমআইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।