ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চকবাজার ট্র্যাজেডি

পোড়া হাতের কব্জি কার?

আবাদুজ্জামান শিমুল, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯
পোড়া হাতের কব্জি কার? মর্চুয়ারিতে পড়ে আছে পোড়া হাতটি। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় কয়েকটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া আগুনে পোড়া মানব দেহের অংশবিশেষ এখনও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। 

মানবদেহের কয়েকটি অংশবিশেষের মধ্যে কব্জি থেকে আঙ্গুল পর্যন্ত অংশ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। তবে সেটি কার তা এখনও নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।

 

বুধবার (২৭ ফ্রেরুযারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদও এ বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি।  

বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৬৭টি মৃতদেহ বাদেও আমরা মানুষের শরীরের কিছু অংশ পেয়েছি; যার মধ্যে কব্জি থেকে আঙ্গুল পর্যন্ত একটি হাত রয়েছে। তবে সেটি কার তা এখনও নির্ণয় করা যায়নি।

‘তবে এগুলো নির্ণয়ে আলাদা করে আমরা ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছি; সেগুলো পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) ফরেনসিক প্রতিবেদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। ’

এক প্রশ্নের জবাবে ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, ফরেনসিক রিপোর্টের পরই জানা যাবে উদ্ধার হওয়া মানবদেহের অংশবিশেষ একজনের নাকি কয়েকজনের। ৬৭টি মৃতদেহ ময়নাতদন্তের সময় দেখা গেছে অনেকের শরীর পোড়া ছিল, অনেকের হাত পুড়ে ছোট হয়ে গেছে। হতে পারে এদের মধ্যে কারো একজনের এই হাতটি।

হাসপাতাল মর্গ সূত্র জানায়, চুড়িহাট্টায় পুড়ে ভস্ম হয়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের নিচ থেকে শুক্রবার আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের নিচ থেকে গত শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এই হাত উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।  পরে তা ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। যা এখনও ‘বেওয়ারিশ’ হিসেবেই পড়ে রযেছে সেখানে।   

যোগাযোগ করা হলে সিআইডির ফরেনসিক ইউনিটের পুলিশ সুপার (এসপি) রুমানা আক্তার বলেন, ৬৭টি মৃতদেহ ছাড়াও আমরা একটি মানবদেহের হাতের ডিএনএ-এর নমুনা পেয়েছি। প্রোফাইলিং এর মাধ্যমে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানা যাবে।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) দিনগত রাত সাড়ে ১০টার কিছু পরে চকবাজার এলাকার নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুড়িহাট্টা মোড়ে এ ভয়বহ আগুনের সূত্রপাত হয়।  

এতে ওইদিন ঘটনাস্থল থেকে ৬৭জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও দুইজন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৯জনে।  

এছাড়া আরও কয়েকজন ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন নয়জনের মধ্যে দুইজন মারা গেছেন। তাদের শরীরে ৬০ শতাংশের বেশি পোড়া ছিল। আর তিনজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তবে চারজন মোটামুটি সুস্থ তাদের বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হতে পারে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯
এজেডএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ