ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চকবাজারে নিহতদের ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
চকবাজারে নিহতদের ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি  বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনের নেতারা-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণসহ আহতদের সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন এবং দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোট। 

সংগঠনটি জানিয়েছে, আবাসিক এলাকা থেকে রাসায়নিক গোডাউন সরিয়ে নিতে হবে।  

একইসঙ্গে গামের্ন্টস শ্রমিকদের ত্রুটিপূর্ণ মজুরি নির্ধারণের জন্য দায়ীদের শাস্তি ও শ্রমিকদের নামে মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়।

 

শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনের পক্ষে এসব কথা তুলে ধরেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক কমরেড সাইফুল হক। এসময় বাম গণতান্ত্রিক জোটের সদস্য কমরেড বজলুর রশিদ ফিরোজ, কমরেড মোশরেফা মিশু, শ্রমিক নেত্রী জলি তালুকদারসহ শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  

কমরেড সাইফুল হক বলেন, চকবাজারের অগ্নিকাণ্ড একটি অবকাঠামোগত হত্যাকাণ্ড। নিমতলী ঘটনার নয় বছর পার হলেও সরকার কোনো সমাধান করতে পারেনি। এই হত্যাকাণ্ডের দায় সরকারকে নিতে হবে। এজন্য ঢাকা দক্ষিণের মেয়রকে পদত্যাগ করতে হবে। এই দাবি নিয়ে বাম গনতান্ত্রিক জোট এক হয়েছে। ৫০ হাজার বা এক লাখ টাকা দিয়ে সরকার এ ধরনের ঘটনাকে ধামাচাপা দিয়ে থাকে। এজন্য চকবাজার অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের ক্ষতিপূরণ ও আহতদের সুচিকিৎসাসহ সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।  

তিনি বলেন, সরকারের কাছে গরিবের কোনো মূল্য নেই। সরকার গরিবের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এখন যদি ভাতের অধিকার নিতে চায় তাহলে শ্রমিকরা চুপ করে বসে থাকবে না। এজন্য শ্রমিকদের মজুরি কাঠামো নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার জন্য দায়ীদের শাস্তি দিতে হবে। শ্রমিকদের ওপর গণনির্যাতন, বাছাই, ছাঁটাই বন্ধসহ মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সরকার যদি এগুলো বাস্তবায়ন না করে তাহলে শ্রমিকরা বাম জোটের নেতৃত্বে হরতাল আন্দোলন করবে।  

বজরুল রশিদ ফিরোজ বলেন, নিমতলী অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জন নিহত হন। সে ঘটনার পর সরকার তদন্ত কমিটি করে। কমিটি  দ্রুত আবাসিক এলাকা থেকে রাসায়নিক কারখানা সরানোসহ ১৭টি সুপারিশ করে। কিন্তু এতো বছরেও একটি সুপারিশ সরকার বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তাই চকবাজারের অগ্নিকাণ্ড কোনো দুর্ঘটনা নয় একটি হত্যাকাণ্ড। এজন্য নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা ও দ্রুত গোডাউন সরিয়ে নিতে হবে।  

তিনি বলেন, সম্প্রতি ৯০টি কারখানা থেকে ১১ হাজার শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে৷ ২৪টি মামলা করা হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার শ্রমিকের নামে। তাদের অনতিবিলম্বে কাজে পুনঃবহাল ও মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। এছাড়া শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। তা না হলে সাভার, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার শ্রমিকদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করবো।  

সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুরানা পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯
এমএইচ/জিসিজি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।