শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিষয়টি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃত যুবকরা হলেন- কাউনিয়া উপজেলার সারাই ইউনিয়নের ভিতরকুটি মাঠেরপাড়া গ্রামের মানু মিয়া ছেলে মো. রাসেল মিয়া (২১) ও ধুমেরকুটি গ্রামের মমিন মিয়া ছেলে মো. মঞ্জরুল ইসলাম (২২)।
মেয়েটির পরিবার ও পুলিশ জানা যায়, দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রতিবেশী কলেজছাত্র রাসেলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের অভিনয় করে মেয়েটিকে রংপুর শহরের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে রাসেল। এসময় রাসেলের সহযোগী বন্ধু মঞ্জরুল গোপন ক্যামেরায় ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। এরপর বখাটে রাসেল ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে কয়েক দফা ধর্ষণ করে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি বখাটে রাসেল ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। সেদিন থেকেই মেয়েটি অনেকটা অপ্রকৃতিস্থ হয়ে পড়ে। সে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়। হঠাৎ তার এই অস্বাভাবিক আচরণ পরিবারের সবাইকে ভাবিয়ে তোলে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে ঘটনার বিষয়টি পরিবারকে জানায়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, ন্যাক্কারজনক ঘটনা জানার পরই তিনি এ ব্যাপারে আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য মেয়েটির পরিবারকে পরামর্শ দেন।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ বলেন, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার মেয়েটির ভাই বাদী হয়ে ধর্ষক রাসেল ও মঞ্জরুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ও পর্ণোগ্রাফি আইনে দুইটি মামলা করেছেন।
অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ধর্ষক রাসেল ও সহযোগী মঞ্জরুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দুইজনই ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছেন। শারীরিক পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯
আরএ
