ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

হালুয়া খাইয়ে সর্বস্ব লুট!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
হালুয়া খাইয়ে সর্বস্ব লুট! র‌্যাবের হাতে আটক অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: হকার সেজে গাড়িতে ওঠেন হালুয়া বিক্রি করতে। হালুয়ার নানা গুনাগুন বর্ণনা দিতে থাকেন। গাড়িতে অবস্থান করা সঙ্গীয় লোকজন প্রশংসা করে হালুয়া খেতে উৎসাহ প্রকাশ করেন। তাদের দেখাদেখি সাধারণ যাত্রীদের কেউ উদ্বুদ্ধ হয়ে হালুয়া খেলেই অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর ওই যাত্রীর কাছ থেকে সর্বস্ব কেড়ে নেমে পড়েন সেই উৎসাহ প্রকাশ করা যাত্রীরা।

বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অজ্ঞান পার্টির এ চক্রের সাত সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্যরা।

আটকরা হলেন- মোহাম্মদ ইমরান ব্যাপারী, জাকির হোসেন, কারিবুল ইসলাম, আব্দুল মালেক, আব্দুল মতিন, মাহবুব ফকির ও জামাল হাওলাদার।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ঘুমের ওষুধ মিশ্রিত ২ পুরিয়া হালুয়া, নয়টি মোবাইল ও নগদ ৬ হাজার ১০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব-১ এর স্কোয়াড কমান্ডার (সিপিসি-২) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সালাউদ্দিন জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ, আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া রোডে অজ্ঞান পার্টির একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় রয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে আটক করা হয়।

আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা বিভিন্ন ওষুধের দোকান থেকে ঘুমের ওষুধ সংগ্রহ করে হালুয়ার সঙ্গে মিশায়। এরপর একজন হকার সেজে নির্ধারিত বাসে উঠে গ্যাস্ট্রিক-আলসার ভালো হয়, যৌন ক্ষমতা বাড়ানোসহ তাদের হালুয়ার বিভিন্ন গুনাগুন বর্ণনা করেন। বাসে আগে থেকেই অবস্থান নেওয়া চক্রের অন্য সদস্যরা হালুয়া খেতে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং আশেপাশের লোকজনকে উদ্বুদ্ধ করেন। তারা বিভিন্ন গুনাগুন ও ভালো ফল পাওয়ার কথা স্বীকার করে সবার আগে হালুয়া কিনে খেতে শুরু করেন। কিন্তু তাদের খেতে দেওয়া হালুয়াতে ওষুধ থাকে না।

এসব দেখে অন্য যাত্রীরা সরল বিশ্বাসে ঘুমের ওষুধ মেশানো হালুয়া খেয়ে ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর হকারবেশী প্রতারক গাড়ি থেকে নেমে গেলেও অন্য সদস্যরা খুব সহজেই অচেতন হওয়া যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল টাকা পয়সা ও মূল্যবান সামগ্রী হাতিয়ে নেয়।

এ চক্রের মূলহোতা ইমরান ব্যাপারী এবং অন্যান্য সদস্যরা ১০ বছরের বেশি সময় ধরে রাজধানী ও গাজীপুরে বিভিন্নস্থানে এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল বলেও জানান এএসপি সালাউদ্দিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯
পিএম/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad