ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নিহত ৭০

চকবাজারে আগুন: ১৪ ঘণ্টা পর শেষ হলো অভিযান

ইসমাইল হোসেন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৯
চকবাজারে আগুন: ১৪ ঘণ্টা পর শেষ হলো অভিযান সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন

ঢাকা: পুরান ঢাকার চকবাজার নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুড়িহাট্টা পট্টির কয়েকটি ভবনে লাগা আগুন প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর নেভানো সম্ভব হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।

তিনি বলেন, উদ্ধার অভিযান আনুষ্ঠানিক ভাবে সমাপ্ত করা হয়েছে।

সব শেষ তথ্য মতে মোট ৭০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হয়েছেন ৪১ জন। এর মধ্যে ৩২ জন ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকি ৯ জন ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি। তাদের অবস্থাও সংকটাপন্ন।

সাঈদ খোকন বলেন, আগুন পুরোপুরি নেভানো হয়েছে। এরপরও ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট থাকবে। যাতে যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলা করা যায়। সেজন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। এজন্য একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

বুধবার রাত সাড়ে দশটার পর চকবাজারের নন্দ কুমার দত্ত রোডের ওয়াহিদ ম্যানশন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর একে একে আশপাশের আরও কয়েকটি ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় সূত্র মতে, ওই ভবনের সামনে থাকা গাড়ি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।  

ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট প্রায় ১৪ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। ততক্ষণে ৭০ তাজা প্রাণ ঝরে গেছে। ঢামেক বার্ন ইউনিটে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ৯ জন। তাদের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে আগুন লাগার ঘটনায় শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও শোক এবং সমবেদনা জানানো হয়েছে।

সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের থেকে প্রত্যেক শ্রমিকের পরিবারকে ১ লাখ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

এছাড়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. জাভেদ পাটোয়ারীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সকালে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক একেএম শাকিল নেওয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, এখানে রাস্তা সরু, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি নেই, বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল, বৈদ্যুতিক ওয়ারিং এলোমেলো। সব মিলিয়ে এখানে একটা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

‘এছাড়া এলপিজি, ন্যাচারাল গ্যাস, ইলেকট্রনিক ও কেমিক্যাল হ্যাজার্ড তো ছিলই’।

ফায়ার সার্ভিসের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরও বলেন, নিমতলীর ঘটনার পর কেমিক্যাল পল্লী হওয়ার কথা ছিল, এখানে গভীর রাতে কেমিক্যালের কাজগুলো হতো। ঘরের মধ্যে কে কী কাজ করতো তা জানার কথা নয়।

শাকিল নেওয়াজ বলেন, এটা একটা ভালো নিউজ দিয়েছে, ‘ওয়েক আপ কল’ দিয়েছে যে তোমরা সতর্ক হও, এর চেয়ে বড় দুর্ঘটনা আসছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৯
এমআইএসইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad