ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরিতে ব্যর্থ মিয়ানমার’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৯
‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরিতে ব্যর্থ মিয়ানমার’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফটো)

ঢাকা: জাতিগত নিধনের শিকার বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিজ মাতৃভূমিতে প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে মিয়ানমার সরকার ব্যর্থ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি সফরের সময় মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) খালিজ টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এ কথা জানান শেখ হাসিনা।

খালিজ টাইমসের সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দু’দেশের মধ্যে চুক্তি সই হওয়া সত্ত্বেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে মিয়ানমার সরকার ব্যর্থ।

শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আমরা মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছি এবং তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখনো তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়নি। আমরা চুক্তির বাস্তবায়ন করতে পারিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তাদের নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং তাদের নাগরিদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়া মিয়ানমার সরকারের কর্তব্য।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংস ও বর্বর অভিযানের মুখে ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। নাগরিকত্ব প্রত্যাখ্যাত এবং স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার বঞ্চিত আরও ৩ লাখের মতো রোহিঙ্গা নৃশংসতার শিকার হয়ে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
 
রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে আর্ন্তজার্তিক সম্প্রদায়ের চাপ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সত্যিকারেই তারা চেষ্টা করছে, এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু যেকোনো ভাবেই হোক, কেন জানি তাদের এ চাপ ভালো কাজ করছে না।

আশাবাদব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার একদিন বুঝতে পারবে তারা যা করছে তা সঠিক নয় এবং মিয়ানমারের উচিত তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়া।

মিয়ানমারে অনিরাপদ পরিবেশ সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে তাড়াহুড়ো করছে বাংলাদেশ এমন বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি সত্য নয়। তবে কতদিন মানুষ উদ্বাস্তু শিবিরে বসবাস করতে পারে? যারা এ ধরনের কথা বলছে, তারা কখনো শরণার্থী ক্যাম্পের দুর্দশা দেখেনি, উপলব্ধি করেনি। কিন্তু আমি শরণার্থীদের কষ্ট বুঝি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে নিজের ও বোন শেখ রেহানা এবং সেই সময়কার বাংলাদেশি শরণার্থীদের বেদনাদায়ক অতিতের কথা স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, ঘরবাড়ি ছাড়া উদ্বাস্তু জীবন কষ্টের, বেদনার, আমরা সেটা বুঝতে পারি। আমি বুঝি এ মানুষগুলোর তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া উচিত এবং ভালো জীবন-যাপন করা উচিত।

** কীর্তিমানদের অনুসরণে জীবন গড়, নতুন প্রজন্মকে হাসিনা

বাংলাদেশ সময়: ২২২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯
এমইউএম/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।