ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নদীর মাটি কেটে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি!

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯
নদীর মাটি কেটে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি! নদীর মাটি কাটা হচ্ছে অবৈধভাবে। ঘটনাস্থলে দুদক কর্মকর্তারা

ঢাকা: সারাদেশে নদীর মাটি কেটে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা লোপাট করছে একটি চক্র। একসঙ্গে তিন জেলায় অভিযান চালিয়ে এর প্রমাণও পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরিবেশবিরোধী এই কাজকে গুরুতর অনিয়ম হিসেবে চিহ্নিত করে দ্রুত এই চক্রের সম্পদ খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। 

দুদকের উপ-পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বাংলানিউজকে জানান, গোমতী, নাগর ও কালিগঞ্জ নদীর মাটি কেটে নদী তীর ধ্বংস এবং পরিবেশের বিপর্যয় ঘটিয়ে কোটি কোটি টাকার অবৈধ বাণিজ্য করা হচ্ছে- দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (১০৬) আসা এমন তিনটি আলাদা আলাদা অভিযোগের ভিত্তিতে কুমিল্লা, বগুড়া ও ঝিনাইদহ জেলায় মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সাঁড়াশি অভিযান চালায় দুদক।  

তিনি বলেন, অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ অভিযান চালায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম।

দুদক মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে দুদক টিম, স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের সমন্বয়ে অভিযান পরিচালিত হয়।

দুদক, কুমিল্লার উপ-পরিচালক হেলাল উদ্দিন শরীফের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও দুদক টিম কুমিল্লার দেবিদ্বারে গোমতী নদীর তীরে অবৈধভাবে বালু তোলা প্রতিরোধে অভিযান চালান। অভিযানে পাঁচজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া দু’টি ট্রাক্টর ও দু’টি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করে ফেলা হয়।

ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার ত্রিবেনী ও দিগনগর ইউনিয়নে দুদক, যশোরের উপ-পরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাতের নেতৃত্বে দুদক টিম অভিযান চালায়। এ অভিযানে কালিগঞ্জ নদীতে বালু তোলার সময়ে একজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

অন্যদিকে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার নাগর নদের তলা খুঁড়ে অবৈধভাবে মাটি তোলার বিরুদ্ধে উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে দুদক টিম স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশের সহযোগে সাঁড়াশি অভিযান চালায়।

এতে তাৎক্ষণিকভাবে চারজন ম্যানেজারকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড ও মোট ৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও ড্রেজার মেশিন ও পাইপ ধ্বংস করা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা করা হবে বলেও জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এ অভিযান প্রসঙ্গে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান, মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, পরিবেশবিধ্বংসী অপরাধ থেকে যারা অবৈধ অর্থ উপার্জন করছে, তাদের সম্পদের হিসাব বের করে দুদক শিগগিরই আইনী ব্যবস্থা নেবে। পরিবেশ, প্রতিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ সুরক্ষায় এ অভিযান আরো চলবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
আরএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।