ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

৪ শতাংশ চাঁদা কর্তন বাতিলের দাবি শিক্ষক-কর্মচারীদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
৪ শতাংশ চাঁদা কর্তন বাতিলের দাবি শিক্ষক-কর্মচারীদের সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের নেতারা। ছকি: শাকিল/বাংলানিউজ

ঢাকা: অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের জন্য অতিরিক্ত ৪ শতাংশ চাঁদা দেয়ার প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মীচারীরা। একই সঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণেরও দাবি জানান তারা। 

মঙ্গলবার ( ১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা এ দাবি জানান। বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি মো. সাইদুল হাসান সেলিম।

 

তিনি বলেন, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এক নির্দেশনা অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডের অতিরিক্ত চাঁদার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ আদেশ মতে, কারিগরি শিক্ষক-কর্মচারীদের জানুয়ারি মাসের বেতন থেকে ১০ শতাংশ কর্তন করা হয়।  

‘শিক্ষকদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়া এবং বর্ধিত সুবিধা না দিয়ে মূল বেতন থেকে অতিরিক্ত কর্তনের আদেশ জারি করা অমানবিক ও এক ধরনের জুলুম। আমরা এই আদেশ বাতিল চাই। ’

শিক্ষক নেতা সাইদুল হাসান সেলিম বলেন, আমরা এই আদেশ বাতিলের দাবি জানালেও এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ফলে শিক্ষকদের মাঝে চরম হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাই আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, এই কর্তনের প্রজ্ঞাপনটি যেন বাতিল করা হয়।  

হুঁশিয়ারি দিয়ে এই শিক্ষক নেতা বলেন, মার্চের ১০ তারিখের মধ্যে অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের অতিরিক্ত চাদা কর্তনের আদেশ বাতিল এবং বৈমষ্য কমাতে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সুস্পষ্ট ঘোষণা না এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটের মতো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।  

সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের মহাসচিব মোহাম্মদ আব্দুল মালেক, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি বিপ্লব কান্তি দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
‌ডিএসএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।