ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদের আগে নির্বিঘ্ন হবে মহাসড়ক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
ঈদের আগে নির্বিঘ্ন হবে মহাসড়ক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

ঢাকা: আগামী রমজানের ঈদের আগেই শেষ হবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ তিন সেতুর নির্মাণ কাজ। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যমুনা সেতুর পশ্চিমপাড় পর্যন্ত সড়ক চার লেনেরও কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ২য় কাঁচপুর ব্রিজের কাজ এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। এর সামারি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে।

সম্ভবত মার্চের ১০ তারিখে প্রধানমন্ত্রী ওই সেতু উদ্বোধন করবেন। ২য় মেঘনা ও গোমতি সেতুর কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। জুনের আগেই এই দুই সেতুর কাজ শেষ হবে। আমি চাই রমজানের ঈদের আগে এটা উদ্বোধন করতে। যাতে ঘরমুখী মানুষ শান্তিতে ঘরে ফিরতে পারেন।

মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে সওজের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব তথ্য জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদের সময় ‘রং সাইড’ দিয়ে গাড়ি চালিয়ে তীব্র ও লম্বা যানজট করা যাবে না। রাস্তা সচল রাখতে হবে। ইউজেবল রাখতে হবে। পাসেবল রাখতে হবে। যারা রাস্তা দখল করেছেন, রাস্তা ছেড়ে দিন। রাস্তা উদ্ধার করা হবে। আমরা উচ্ছেদ শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না। যা নেই তা নিয়ে কথা বলে লাভ নেই। প্রোকৌশলীদের চেষ্টা করতে হবে যা আছে তা দিয়ে সমস্যার সমাধান করার।

তিনি বলেন, সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) ১ ও ২ প্রকল্পের এলাকা আমি নিজে ঘুরে দেখে এসেছি। আশা করছি রমজানের ঈদের আগে যমুনা সেতুর পশ্চিম পাড় পর্যন্ত সড়ক চারলেনের কাজ শেষ হবে। নবীনগর-চন্দ্রা সড়কে চন্দ্রা ফ্লাইওভারে কিছু সমস্যা ছিলো। এটা চিহ্নিত করে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কোনাবাড়িতে কোনো সমস্যা নেই। লতিফপুরে ২টি রেলওয়ে আন্ডারপাস, ২টি ওভারপাস ও ১টি ফ্লাইওভার নির্মাণ চলছে। এখানে সমস্যা নাই। টাঙ্গাইল-যমুনা পশ্চিমপাড়, বগুড়ার মোকামতাল-রংপুর এর সাসেক-২ এর ৮টি প্যাকেজের ৪টির চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এই ৪ প্যাকেজের ঠিকাদাররা প্রকল্প এলাকায় চলে গেছেন। এটা পশ্চিমপাড় থেকে মোকামতলা পর্যন্ত। বাকি চারটির তিনটি চুক্তি হবে আগামী মার্চ মাসে। বাকিটি রিভিউয়ের জন্য পাঠিয়েছে পারচেজ কমিটি। সেই কাজ দ্রুত শেষ হবে।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ঈদের আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কে কোনো প্রতিবন্ধকতা দেখতে চাই না। কারণ, এই দুই মহাসড়কেই ঈদে বড় সমস্যা হয়। আশা করছি ঢাকা-সিলেট সড়কেও কোনো সমস্যা হবে না। এই সড়কের চারলেন কাজের প্রকল্প প্রস্তুত রয়েছে। ফান্ড ঠিক হলে কাজ শুরু হবে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার চারলেন প্রকল্প পিপিপির অধীনে তৈরি হচ্ছে। জাপান সরকারও এই প্রকল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখাচ্ছে। কালনা সেতু তৈরির কাজও চূড়ান্ত হয়েছে। এটা পদ্মাসেতুর লিংক রোডের কাজ।

সওজের প্রকৌশলীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, সময় কম। এপ্রিলে বর্ষা শুরু হবে। মে মাসে রমজান। এরপরই রমজানের ঈদ। এখনই বেহাল সড়কের কাজ শুরু করতে হবে। দেশকে ভালোবেসে কাজ করতে হবে। রাতেও কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
আরএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।