ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শেবাচিমে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
শেবাচিমে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি হাসপাতালে সরবরাহকৃত সেফিউরক্সিম ইনজেকশন। ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স ওয়ার্ডে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ১৮ জন রোগী একত্রে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হাসপাতাল পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় রোগীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনার তদন্তে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. ইউনুস আহমেদকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির বাকী দুই সদস্যরা হলেন হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. জাহিদ ও মেডিকেল অফিসার ডা. নুরুন্নবী তুহিন।

এছাড়া সমস্যা দেখা দেওয়া একই ব্যাচ নম্বরের সব সেফিউরক্সিম ইনজেকশন হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং নতুন ব্যাচ নম্বরের সেফিউরক্সিম ইনজেকশন সরবরাহ করা হচ্ছে। আর সমস্যা দেখা দেওয়া ব্যবহৃত সেফিউরক্সিম ইনজেকশনের ভায়েল (বোতল) সংগ্রহ করা হয়েছে। যা ঢাকায় ল্যাবে পাঠানো হবে। সেখানের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানান পরিচালক বাকির।

এর আগে সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০ টার দিকে নির্ধারিত সময়ে শেবাচিম হাসপাতালের মোট ৯৪ জন রোগীর মধ্যে ২১ জন রোগীকে হাসপাতালে সরকারিভাবে সরবরাহকৃত সেফিউরক্সিম ইনজেকশন (৭৫০ মিলি লিটার), অমিটিড ইনজেকশনসহ (৪০ মিলি) ব্যথানাশক ইনজেক্শন দেওয়া হয়। ইনজেকশন দেওয়ার কিছু সময় পরই আকস্মিকভাবে হাসপাতালের কুদ্দুস, ইমতিয়াজ, বিকাশ চন্দ্র হাওলাদার, অলিয়ার, এনামুলহকসহ ১৮-২০ জনের মতো রোগী ঝাকুনি-কাঁপুনি দিতে থাকেন এবং অসুস্থ হয়ে পড়েন।

ওয়ার্ডের নার্স ইনচার্জ শাহআলম বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সেফিউরক্সিম ইনজেকশন দেওয়ার পরই ওই সব রোগীকে কাঁপতে দেখা দেয়। ঝাকুনি দিতে দিতে তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি চিকিৎসকদের জানানো হয়। চিকিৎসকরা তাৎক্ষণিক এসে ওষুধ (কটসন) দিয়ে তাদের সুস্থ করে।

তিনি জানান, হাসপাতালের সরবরাহকৃত ওষুধের মেয়াদ রয়েছে ২০২০ সাল পর্যন্ত। কিন্তু তারপরও কেন এমনটা হয়েছে তা বলা সম্ভব নয়। তবে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সেফিউরক্সিম ইনজেকশনের বোতল সরবরাহ করা হয়েছে।

ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ও সহকারী রেজিস্ট্রার সুদীপ কুমার হালদার বাংলানিউজকে জানান, সেফিউরক্সিম ইনজেকশন দেওয়া রোগীদেরই সমস্যা হয়েছে। যার সংখ্যা ১৮-১৯ জনের মতো। আর একত্রে এতো রোগীর কাঁপুনি দেওয়া ও ঘাম হওয়ার লক্ষণ ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
এমএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।