ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চা শ্রমিকদের সন্তানরা পাবে হোস্টেল 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৯
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চা শ্রমিকদের সন্তানরা পাবে হোস্টেল  সচিবালয়ে ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: সিলেটের চা-বাগান এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চা শ্রমিক সন্তানদের জন্য হোস্টেল নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। তিনি বলেন, সরকার ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে ২৮৪ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। এ প্রকল্পের মাধ্যমে এক লাখ শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে প্রত্যাহার করা হবে। 

মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ে ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি এডোয়ার্ড বিগবেডার-এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি একথা জানান।  

সাক্ষাৎকালে শ্রম প্রতিমন্ত্রী ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন।

 

প্রসঙ্গত, আগামী ২৪ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা এইচ ফোর বাংলাদেশ সফর করবেন। সফরকালে ২৬ ফেব্রুয়ারি শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয় নিশ্চিত করতে তারা এসেছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ২০২১ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম এবং ২০২৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রম নিরসনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।  

আগামীতে ইউনিসেফের সঙ্গে বাংলাদেশ সর্ম্পক আরও জোরদার হবে বলে উভয়পক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করে।  

প্রতিনিধিদল আইএলও এবং ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগে সিলেট অঞ্চলের চা বাগান এলাকায় স্কুলের বাইরে থাকা শিশুদের কারিগরি শিক্ষার জন্য নেওয়া একটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে। এসময় জাহাজ ভাঙা শিল্প মালিক সমিতি ওই খাতে শ্রমিক হিসেবে শিশুদের নিয়োগ দেওয়া হয় না বলে সম্প্রতি যে প্রত্যায়ন দিয়েছে সে বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে।  
 
সাক্ষাৎকালে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, ইউনিসেফের চিফ অব এডুকেশন ড. পাওয়ান কুচিতা, চৌধুরী মুফাদ আহমেদের সোশ্যাল পলিসি স্পেশালিস্ট মো. আজিজুর কামালসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৯
জিসিজি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।