ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় ইন্দোনেশিয়ার কোচ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় ইন্দোনেশিয়ার কোচ ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা লাল-সবুজ রংয়ের রেল কোচ। ছবি: বাংলানিউজ

নীলফামারী: ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা লাল-সবুজ রংয়ের রেল কোচগুলোর প্রথম চালান ইতোমধ্যে সৈয়দপুর এসে পৌঁছেছে। দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানায় ওই চালানের ১৫টি কোচের কারিগরী নিরীক্ষা শুরু হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এইসব কোচ নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হবে।  

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ব্রডগেজ (বড়) লাইনের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে ৫০টি কোচ আমদানির উদ্যোগ নেয় সরকার।

অত্যাধুনিক এসব কোচ নির্মাণ করছে সেদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন রেলওয়ে ক্যারেজ ( কোচ) নির্মাণ প্রতিষ্ঠান পিটি ইন্ডাস্ট্রি কেরেতা এপি (ইনকা)। ওই প্রতিষ্ঠানে মিটার গেজ (ছোট) লাইনের জন্যও আরও ২০০টি কোচ নির্মাণ করা হচ্ছে।  

একই সূত্র মতে, ব্রডগেজ লাইনের জন্য ৫০টি কোচ আমদানিতে ব্যয় হয় ২১৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৫টি কোচ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় আনা হয়। কোচগুলো অত্যন্ত দ্রুতগতি সম্পন্ন, আধুনিক ও এর আসনগুলো খুব আরামদায়ক। ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার চলতে সক্ষম এগুলো। এর আগে এতো দ্রুতগতির ট্রেন বাংলাদেশে চলেনি। এছাড়া বিমানের মতো বায়োটয়লেট সংযোজন করা হয়েছে ওইসব কোচে। এতে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়বে না মানববর্জ্য। ফলে ট্রেনটি হবে পরিবেশবান্ধব।
 
ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা লাল-সবুজ রংয়ের রেল কোচ।  ছবি: বাংলানিউজসৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) জয়দুল ইসলাম জানান, গত সপ্তাহে আমদানিকৃত কোচের ১৫টি রেলওয়ে কারখানায় এসে পৌঁছায়। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় যান্ত্রিক নিরীক্ষণ।  

মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এসব কোচের খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ করা হবে। এসব তদারকি করতে এসেছেন ইন্দোনেশিয় ১১ জন বিশেষজ্ঞ (এক্সপার্ট)। তাদের সঙ্গে নিয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার শ্রমিক প্রকৌশলীরা কোচগুলোর হাইড্রলিক ব্রেক ও যান্ত্রিক রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবেন। আগামি মার্চ মাসে ওই কোচগুলোর ট্রায়াল রান ( পরীক্ষামূলক দৌড়) শুরু হবে। এর মাঝে বাকি কোচগুলো আনা হবে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়। যাবতীয় নিরীক্ষণ শেষে এ কোচগুলো দিয়ে চালানো হবে আন্তঃনগর ট্রেন।  

তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে পশ্চিমাঞ্চলীয় মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার শহীদুল ইসলাম ও প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী মৃনাল কান্তি বণিক কোচগুলো পরিদর্শন করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।