ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মাঘের শেষে রাজশাহীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৯
মাঘের শেষে রাজশাহীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি নামছে থেমে থেমে বৃষ্টি, ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: ‘যদি বর্ষে মাঘের শেষ/ধন্যি রাজার পূণ্যি দেশ’ বাংলা সাহিত্যে খনার বচন নামে পরিচিত। এই কথাগুলোর যে সত্যতা রয়েছে অনেকটা নিশ্চিভাবেই বলা যায়। কারণ, মাঘের শেষের বৃষ্টি সবসময়ই যেন আশীর্বাদ।

বিশেষ করে ফসলের জন্য দারুণ উপকারী। দীর্ঘ খরা ও বৃষ্টিহীন শীতে প্রকৃতি যখন রুক্ষ হয়ে উঠে তখন এক পশলা বৃষ্টি যেন ফসলের জন্য অনেক সুফলই বয়ে নিয়ে আসে।

তাই শুক্রবারের মতো (০৮ ফেব্রুয়ারি) শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বৃষ্টিতে হাসি ফুটেছে রাজশাহীর কৃষকদের মুখে। নামছে থেমে থেমে বৃষ্টি, ছবি: বাংলানিউজগত কয়েক থেকেই দিনে গরম রাতে ঠাণ্ডা পড়ছে। সকালে সূর্যোদয়ের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গরমে ভিজছে শ্রমজীবী মানুষের শরীর। তবে সন্ধ্যার পর আবারও লাগছে ঠাণ্ডা। এতে কিছুটা বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছিল নগরজীবন। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকেই রাজশাহীর আবহাওয়া ছিল মেঘ মেদুর। আকাশজুড়ে কখনও রোদ কখনও আবার মেঘ যেন খেলা করেছে দিনভর। এর মধ্যে হু-হু করে বয়েছে হিমেল বাতাস। বিকেল পাঁচটা বাজতেই বৃষ্টি নামে রাজশাহীর আকাশে।

শুরুতেই এক পশলা বৃষ্টি ভিজিয়ে দেয় উত্তরের এই শুষ্ক জনপদ। এরপর সামান্য বিরতি দিয়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি চলছেই। ফলে মাঘের শেষ সপ্তাহে শীতের তীব্রতা আবারও বেড়েছে। পথের ধারের ছিন্নমূল মানুষগুলো শনিবার আবারো পড়েছেন দুর্ভোগে। তবে এই বৃষ্টিতে খুশি হয়েছেন গ্রামের কৃষকরা।

কৃষকরা বলছেন, এই বৃষ্টি বোরোসহ মাঠে ফসলের জন্য আশীর্বাদ। আমের মুকুলের জন্যও এই মুহূর্তের হালকা বৃষ্টি প্রয়োজন।

এদিকে ছুটির দিন বিকেল থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে মহানগরীর নিচু রাস্তাগুলো এরই মধ্যে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। কিন্তু কোথাও স্থায়ীভাবে বৃষ্টির পানি জমেনি। তবে এতে পথচারীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে সন্ধ্যার পর থেকে সড়কে যানবাহন চলাচলও কম দেখা গেছে।

শুক্রবার রাতে রাজশাহী আবহাওয়া অধিদফতরের পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিট থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। রাত ১২টা থেকে শনিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ৪ দশমিক ২ মিলিমিটার। বৃষ্টির কারণে রাজশাহীতে সকালে দেখা মেলেনি সূর্যের। একই সঙ্গে বেড়েছে শীতের তীব্রতাও। গত কয়েকদিন ধরে শীত একটু কম অনুভূত হলেও শনিবার তার তীব্রতা বাড়ছে।

পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম আরও জানান, রাজশাহীতে শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৯
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ