ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রোগীর পেটে গজ রেখে সেলাই করার অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৯
রোগীর পেটে গজ রেখে সেলাই করার অভিযোগ

বরিশাল: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে অস্ত্রোপচারকালে এক রোগীর পেটে গজ রেখে সেলাই করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে হাসপাতালে নার্স ও চিকিৎসকদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। 

সোমবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হাসপাতালের গাইনী বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুনরায় অস্ত্রোপচার করে ওই রোগীর পেট থেকে গজ অপসারণ করেন চিকিৎসকরা।

হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার অফিসে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স সঞ্চিতা জানান, তার গ্রামির বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়া উপজেলার ছোট সিংহের হাট গ্রামে। রোগী তার প্রতিবেশী হিরন হালদারের স্ত্রী আলো রাণী। জরায়ুতে সমস্যা নিয়ে গত জানুয়ারির শেষ দিকে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী বিভাগের ইউনিট-১ এ ভর্তি করানো হয়। সর্বশেষ ৩ ফেব্রুয়ারি আলোর জরায়ুতে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসক।

সঞ্চিতার অভিযোগ, অস্ত্রোপচারকালে গাইনী বিভাগের চিকিৎসক ভেতরে একটি গজ রেখে বাইরে থেকে সেলাই করে দেন। ফলে রোগীর অস্ত্রোপচারস্থলে ব্যথা হতে থাকে। পরে চিকিৎসকদের জানালে গজ রেখে সেলাই করে দেওয়ার বিষয়টি জানা যায়।  
তিনি বলেন, প্রথমে চিকিৎসকদের জানানো হলেও তারা ভুল স্বীকারনা করে উল্টো নার্সদের নিয়ে নানা অমর্যাদাকর বক্তব্য দেন। এক পর্যায়ে গাইনী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. নাসরিন সুলতানা নার্সদের লাঞ্ছিত করেন।  

এদিকে এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভ করেন নার্সরা। চিকিৎসকের বিচার দাবি করে হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডে রোগীর সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দেন তারা। এ সময় রোগীদের কিছুটায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার সময় আমি বরিশালের বাইরে ছিলাম। তবে নার্স ও চিকিৎসকদের মধ্যে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা ছিলো ভুল বোঝাবুঝি। পরে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে নার্সদের কাজে ফেরানো হয়েছে।

পেটে গজ রেখে সেলাই করে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, অস্ত্রোপচারের জায়গায় দুটি গজ ছিলো। একটি গজ বের করা হলেও ভুলে অপরটি ভেতরেই রয়ে যায়। তবে বিষয়টি বোঝার পরপরই পুনরায় অস্ত্রোপচার করে গজটি বের করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৯
এমস/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।