ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

একগাদা ভাত খাওয়ার অভ্যাস বদলাতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৯
একগাদা ভাত খাওয়ার অভ্যাস বদলাতে হবে: প্রধানমন্ত্রী মেলা ঘুরে দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ছবি: পিআইডি

ঢাকা: একগাদা ভাত খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করে বেশি করে শাক-সবজি, পুষ্টিসমৃদ্ধ সুষম খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শাক-সবজি, মাছ-মাংস, দুধসহ সুষম খাদ্য উৎপাদনে সফলতা ও সরকারের মনোযোগের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।

সুষম খাবার খাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে আমি বলবো একগাদা ভাতই শুধু খেলে হবে না।

ভাতের সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে শাক-সবজিও বেশি করে খেতে হবে। আর মাছ-ডিম তো আছেই। যাতে খাবারটা সুষম হয়। আর সুষম খাবার হলেই পুষ্টি নিশ্চয়তাটা থাকে।

তিনি বলেন, আমাদের খাদ্যের যে অভ্যাসটা, সেই অভ্যাসটা একটু পরিবর্তন করা দরকার। আমি এটা দেশবাসীকে বলবো, আমাদের ছিল এক থাল পেট ভরে ভাত, সামান্য একটু সবজি খাওয়ার অভ্যাস।  

বেশি করে শাক-সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাতের সঙ্গে আমরা যদি তরি-তরকারি, সবজি খেতে হবে। সবজির মধ্য দিয়ে কিন্তু অনেক পুষ্টি আসে। সেটাও আমরা ব্যবহার করতে পারি। তাছাড়া এখনতো মাছ উৎপাদনেও আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ।  

মাংস ও দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের পোল্ট্রিও বেড়েছে- মুরগির খামার বাড়িয়েছি। দুধ উৎপাদন যাতে বাড়ে তার ব্যবস্থাও আমরা করে দিয়েছি। অর্থাৎ, পুষ্টিকর খাদ্যের দিকে আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিয়েছি।

মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। একজন দিনমজুরও যা কামাই করে তা দিয়ে ১০/১২ কেজি চাল কিনতে পারে। অতো চাল হয়তো প্রয়োজন হয় না। একটু মাছও কিনতে পারে, সেভাবে কিনছে এখন। মানুষ সচেতন হচ্ছে।  

মেলা ঘুরে দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ছবি: পিআইডিগবেষণার মাধ্যমে উন্নত জাতের ধান উৎপাদনে সরকারের কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যেন পুষ্টিসম্পন্ন ধান হয় সেটাও আমরা সংযোগ করে দিচ্ছি। গবেষণা করে করে করা হচ্ছে।

সুষম খাদ্যের সঙ্গে পরিষ্কার-পরিচ্ছনতার ওপর গুরুত্বারোপ করে টানা তিন-বারসহ চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সবচেয়ে বড় কথা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকেও বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। কারণ যতই খাবার খাই, যা খাই যদি আমরা অপরিষ্কার থাকি কোনো খাবারই কাজে লাগবে না। সেদিকে আমাদের বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।  

এবারের নিরাপদ খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সুস্থ-সবল জাতি চাই, নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নেই’। প্রধানমন্ত্রী এই প্রতিপাদ্যের প্রশংসা করেন।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

সভাপতিত্ব করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহাবুদ্দিন আহমদ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।

****এবার খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধেও আসছে জোরালো অভিযান
****
ভেজাল বন্ধে হচ্ছে খাদ্য পরীক্ষার ‘বিশেষ ল্যাবরেটরি’
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৯
এমইউএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।