ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘কর্মক্ষেত্রকে সেবার কেন্দ্রস্থল পরিণত করার নির্দেশ’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৯
‘কর্মক্ষেত্রকে সেবার কেন্দ্রস্থল পরিণত করার নির্দেশ’ বক্তব্য রাখছেন আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: নিজের কর্মক্ষেত্রকে সেবার কেন্দ্রস্থলে পরিণত করা নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

রোববার (২৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদায় পুলিশের ৩৬ তম উপ-পরিদর্শকদের (এসআই) প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে আইজিপি এ নির্দেশ দেন।

এর আগে তিনি প্যারেড পরিদর্শন করেন ও সদ্য প্রশিক্ষিত এসআইদের অভিবাদন গ্রহণ করেন।

পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, আইনের শাসন নিশ্চিত করতে পুলিশকে সর্বাগ্রে এগিয়ে আসতে হবে। মামলার যথাযথ তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা, অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনা, মামলার বাদী, ভিকটিম ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা দেওয়াসহ অৰ্পিত দায়িত্ব নির্মোহভাবে পালন করতে হবে।

জনগণকে আইনি সহায়তা দেওয়া, তথ্যের ভিত্তিতে ত্বরিৎ ব্যবস্থা নেওয়া, নারী-শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীসহ সবার সেবাপ্রত্যাশী জনগণের প্রতি সংবেদনশীল আচরণের নির্দেশনা দেন আইজিপি।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির বাস্তবায়নে বাংলাদেশ পুলিশের পেশাদারিত্ব ও সাহসিকতার প্রশংসা করে তিনি বলেন, সম্প্রতি সন্ত্ৰাসবাদ হ্রাস সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের উন্নয়ন তার একটি উৎকৃষ্ট নিদর্শন। জনগণের সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার বিভিন্ন আইনকে সংস্কারের মাধ্যমে যুগোপযোগী করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী চিন্তার আলোকে পুলিশে ধারাবাহিকভাবে বর্ধিত হারে নারীসদস্য নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া পুলিশের অপারেশনাল ক্ষেত্রসহ নীতি নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণও বাড়ছে।

সরকার প্রশিক্ষণের সুব্যবস্থা অত্যাধুনিক লজিস্টিকস ও ইকুইপমেন্ট সরবরাহের সুব্যবস্থা করছে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, নতুন প্রযুক্তির বিকাশ ও বিশ্বায়নের ও ফলে অপরাধের প্রকৃতি, মাত্রা অপরাধ সংগঠনের কৌশলে নিয়ত পরিবর্তন ঘটছে। পুলিশকেও তাই অপরাধ মোকাবেলা, কলাকৌশল প্রয়োগ এবং প্রযুক্তি ও লজিস্টিকস ব্যবহারে সক্ষমতা অৰ্জন করতে হচ্ছে।

অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনা থেকে শুরু করে পুলিশের কাজের পরিসরে সাইবার ক্রাইম রোধ, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, আন্তঃদেশীয় অপরাধ, জাতীয় জরুরী সেবা- ৯৯৯ ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন ইত্যাদি সংযোজিত হয়েছে বলেও অনুষ্ঠানে উল্লেখ করেন আইজিপি।

এ সময় দেশ ও রাষ্ট্রের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতা প্রস্তুত রেখে কর্মজীবন শুরুর জন্য নবীন পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

এর আগে প্যারেড পরিদর্শন শেষে বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী পাঁচ জনের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন আইজিপি। এর মধ্যে বেস্ট একাডেমিক ক্যাডেট হিসেবে পুরস্কৃত হন ক্যাডেট (এসআই) মোছা. রুবিনা ইয়াসমিন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপ্যাল অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ নাজিবুর রহমান, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এম খুরশিদ হোসেন, রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার, রাজশাহী পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ ছাড়াও পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৯
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।