ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ফেব্রুয়ারিতে একসঙ্গে দুইপক্ষের বিশ্ব ইজতেমা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৯
ফেব্রুয়ারিতে একসঙ্গে দুইপক্ষের বিশ্ব ইজতেমা

ঢাকা: আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের যেকোনো সময় গাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগ নদীর তীরে তাবলীগ জামাতের দুইপক্ষ একসঙ্গে বিশ্ব ইজতেমা করতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সরকারের মধ্যস্থতায় তাবলীগ জামাতের দুইপক্ষ বৈঠকে বসে ইজতেমা একসঙ্গে করার বিষয়ে সম্মত হয়।  

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

বৈঠকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহও উপস্থিত ছিলেন।
 
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল বলেন, তাবলীগ জামাত দুটি পক্ষ হয়ে গেছে। মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি, আরেকটি মাওলানা জুবায়ের সাহেবের নেতৃত্বে। দু’পক্ষের সবাই এসেছিলেন। দীর্ঘ আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী মাসের (ফেব্রুয়ারি) যেকোনো সময়ে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা হবে। দু’পক্ষই সেই ইজতেমাটা করবে।
 
তিনি বলেন, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সাড়ে ১০টায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর অফিসে আরেকটি সভা হবে। সেখানে কবে, কখন, কীভাবে ইজতেমা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে উভয় পক্ষের দু’জন সব সময় বসে সিদ্ধান্ত নেবেন। তারা যৌথভাবে বিশ্ব ইজতেমার নেতৃত্ব দেবেন।
 
দিল্লি মারকাজের প্রধান মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে নিয়ে বিরোধের জেরে এবার নির্ধারিত সময়ে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়নি।
 
মাওলানা সাদ কান্ধলভী সাহেব ইজতেমায় আসবেন কিনা- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘উনি এই ইজতেমায় আসবেন না, সেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ’
 
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেন, বিষয়টি (দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব) এতটাই বিতর্কিত হয়ে গেছে আমরা এখন কিছু না বললে এটা পরিষ্কার হচ্ছে না। আপনারা জানেন ইতোমধ্যে বিষয়টি হাইকোর্টে রিট পিটিশন পর্যন্ত গেছে। সেখানে কথাবার্তাগুলো ভালো আসেনি।  

‘যেটার জন্য আমাদের দেশ, আমাদের ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও টঙ্গীর বিশ্ববিখ্যাত ইজতেমার গায়ে একটু কলঙ্ক লাগছে। এটা নিরসনের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে বসেছি। ’
 
তিনি বলেন, এতদিন এই দু’পক্ষ কিন্তু একসঙ্গে বসেনি। এবার আমরা চিন্তা করছিলাম দু’পক্ষকেই এক জায়গায় বসতে হবে। আজ দু’পক্ষের সবাই একত্রিতভাবে সুন্দরভাবে বসছিলাম।
 
‘সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হলো- ঐক্যবদ্ধভাবে একটাই ইজতেমা হবে, দুটি হবে না। সারাদেশের গোলমাল যেগুলো হচ্ছে, এটা কাম্য নয়। আজকে সিদ্ধান্ত ফাইনাল হয়ে গেছে ইজতেমা দুই গ্রুপে হবে না। সবাই মিলে একসঙ্গে হবে। এক গ্রুপের মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলাম ও আরেক গ্রুপের মাওলানা জুবায়ের সাহেবকে আমরা এই দায়িত্ব দিয়েছি। ’
 
প্রতিনিধি দলের দেওবন্দে যাওয়ার প্রয়োজন আছে কিনা- জানতে চাইলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেওবন্দে যাওয়া-না যাওয়ার শর্ত আর নেই। তবে ভবিষ্যতে যাতে স্থায়ী সমাধান করা যায় এ ব্যাপারে যখন যেখানে গেলে ভালো হয় সেই প্রক্রিয়া চালু থাকবে।
 
দুই পক্ষের মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে কালকে (বৃহস্পতিবার) আলোচনা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
 
এদিকে, ইজতেমায় নিরাপত্তা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর আমরা নিরাপত্তার বিষয়ে ব্যবস্থা করে থাকি। সম্পূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী করে থাকে, প্রয়োজন বিশেষে সেনাবাহিনীও সহযোগিতা করে থাকে, সেটা থাকবে। বিশ্ব ইজতেমা যাতে সুন্দরভাবে হয় সেজন্য নিরাপত্তা বাহিনী দায়িত্ব নেবে।
 
বৈঠকে সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, জননিরাপত্তা বিভাগে সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৯/আপডেট: ১৮৩৬ ঘণ্টা
এমআইএইচ/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।