ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ‘পুকুর চুরি’, দুদকের মামলা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৯
ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ‘পুকুর চুরি’, দুদকের মামলা

ঢাকা: এবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) নানা অনিয়ম ও  দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, শুধু অনিয়মই নয়, রীতিমতো ‘পুকুর চুরি’র সন্ধান পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। 

মঙ্গলবার বিকেলে (২২ জানুয়ারি) দুদকের উপ-পরিচালক সুভাষ চন্দ্র দত্ত বাদী হয়ে ডিএসসিসির সাবেক প্রশাসক খলিলুর রহমান, সাবেক সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ দিদারুল আলমসহ ৪৮ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়।  

দুদক বলছে, ডিএসসিসির কতিপয় কর্মকর্তা যোগসাজস করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পুরান ঢাকার বলধা গার্ডেনের পাশে সিটি করপোরেশনের জমি লিজের মাধ্যমে মার্কেট করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছেন।

যার প্রাথমিক প্রমাণও রয়েছে তাদের হাতে।  

পড়ুন>>‘টাকার কুমির’ আবজালের সব সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ডিএসসিসির সম্পত্তি বিভাগের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সার্ভেয়ার মুহাম্মদ মুরাদ হোসেন, মুহাম্মদ বাচ্চু মিয়া এবং ওয়ারির তাসাব্বির হোসেন, শহিদুল হাসান (সাগর), আজিমপুরের গিয়াস উদ্দিন, ওয়ারীর সারোয়ার হাসান (আলো), সূত্রাপুরের এ এস এম এ কাদের, ফাহমিদা আক্তার কুমকুম, সুরাইয়া আক্তার, ফারিয়া আক্তার নিশা, ফরহাদ হোসেন, ওয়ারীর নজরুল ইসলাম (বিপ্লব), মফিজুর রহমান পাবেল, ফারুক হোসেন, টিকাটুলীর মানিক মানবিক, শ্যামপুরের আব্দুল আজিজ, যাত্রাবাড়ীর প্রানতোষ চন্দ্র সরকার, সূত্রাপুরের মোহাম্মদ হাবিবুল হক, এহেসান উদ্দিন সাহিন, হাফিজ উদ্দিন (পাবেল), আমিনুল ইসলাম, রফিকুল বারী চৌধুরী, এনামুল হক, আ. হাদি, সূত্রাপুর, ঢাকা, ওয়ারীর হাজী আবুল হোসেন, ইকবাল হাওলাদার, খিলগাঁওয়ের মনিরুজ্জামান, ওয়ারীর আহমেদ ইমতিয়াজ মন্নাফী, সূত্রাপুরের রশিদুল হক ভুইয়া, আকলিমা মালেক নিপা, গেণ্ডারিয়ার ইলিয়াস হোসেন, ওয়ারীর নজরুল ইসলাম, নার্গিস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, সিদ্ধেশ্বরীর আবিদ রশিদ, ওয়ারীর এম আনোয়ার পারভেজ, বংশালের হাজী মো. আরমান, বাড্ডার জামিল আহমেদ চিশতী, সূত্রাপুরের সালেহ মোহাম্মদ কবির, বাতেনুর হক বাঁধন, গাজীপুরের মো. রানা, ওয়ারীর সুনিল চন্দ্র পাল, মোকলেসুর রহমান, নুরজাহান বেগম ও এহসানুল আলম।  

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে মিথ্যা তথ্য দিয়ে  অন্যায়ভাবে নিজেরা লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে কিংবা অন্যদের অন্যায়ভাবে লাভবান করার উদ্দেশ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৯৮০ বর্গফুট রাস্তা (আবেদনকারীরা প্রত্যেকে ৪৫ বর্গফুট) বরাদ্দ গ্রহণ/প্রদান করে দণ্ডবিধির ৪৭৭ এ/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
আরএম/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad