ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

হলফনামায় আয়কর তথ্য না দেওয়া এমপিদের দেখবে এনবিআর

মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
হলফনামায় আয়কর তথ্য না দেওয়া এমপিদের দেখবে এনবিআর

ঢাকা: হলফনামায় আয়কর তথ্য না দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত এমপিদের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে এনবিআরের সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) কালিপদ হালদার বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।

এনবিআরের এ অভিজ্ঞ কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আরপিওতে প্রার্থীদের হলফনামায় আয়কর তথ্য দেওয়া বাধ্যবাধকতা ছিল না।

এ কারণে হয়তো এমপিরা তথ্য দেননি। তার মানে এই না যে, তারা আয়কর দেননি। তবে যারা আয়কর তথ্য দেননি তাদের আয়করের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোট, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্য থেকে ২৯৯ জন সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন। তাদের মধ্যে হলফনামায় আয়কর তথ্য দিয়েছেন ১৮৯ জন এমপি। বাকি ১১০ জন এমপি হলফনামায় তাদের আয়কর তথ্য দেননি বলে নির্বাচনের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি তুলে ধরেন সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এমপিদের মধ্যে ৭ জন ৫ হাজার কিংবা তার চেয়ে কম টাকা আয়কর দেন। ৫ হাজার একটাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়কর দেন একজন এমপি। এভাবেই ১০ হাজার একটাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা আয়কর দেন এমন এমপির সংখ্যা ১৮ জন।  

এছাড়াও, ৫০ হাজার একটাকা থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত আয়কর দেন ১২ জন এমপি। তবে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ একলাখ একটাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়কর দেন ৮৩ জন এমপি। ১৭ জন এমপি দেন ৫ লাখ একটাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়কর আর ১০ লাখ টাকার বেশি আয়কর দেন ৫০ জন এমপি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনবিআরের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, ১১০ জন এমপি আয়কর দেননি বিষয়টি ঠিক না। নির্বাচনের আগের সব প্রার্থীদের আয়কর প্রদানের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। তাতে হাতে গোনা কয়েকজন এমপির তথ্য পাওয়া গেছে যারা আয়কর দেননি। আমরা তাদের আয়কর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করবো। না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, এমপিরা সম্মানিত ব্যক্তি এজন্য একটু সময় লাগবে। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি যারা এখনো কর যোগ্য কিন্তু কর দিচ্ছেন না তাদের বিষয়টিও দেখা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
এমএফআই/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad