ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

সাগর-রুনি হত্যার বিষয়টি কোথায় আটকে আছে খুঁজে বের করবো

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৯
সাগর-রুনি হত্যার বিষয়টি কোথায় আটকে আছে খুঁজে বের করবো

ঢাকা: সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিষয়টির দ্রুত সুরাহা হওয়া উচিত বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য কাজ করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রোববার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, আমি মন্ত্রণালয়ে নতুন দায়িত্ব নিয়েছি।

আমি মনে করি এ ব্যাপারটির অবশ্যই সুরাহা হওয়া উচিত। তবে এখনই সময় উল্লেখ করে কিছু জানাতে পারছি না। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি কোন জায়গায় আটকে আছে তা খুঁজে বের করে যত দ্রুত সম্ভব নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা করবো।

২০১২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরোয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  

এ ঘটনার পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে শেরেবাংলা নগর থানার মাধ্যমে তদন্ত শুরু হয়। এর চার দিন পর চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা হিসেবে তদন্তের দায়িত্ব ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) দেওয়া হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে ২০১৪ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টের নির্দেশে হত্যা মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব র‌্যাবের ওপর ন্যস্ত করা হয়।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ অর্ধশতবারের বেশি পিছিয়েছে। সবশেষ ৯ জানুয়ারি প্রতিবদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সেদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের সহকারী পরিচালক সহকারী পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ তা দাখিল না করায় নতুন করে ১৭ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করেন আদালত।

সম্প্রচার আইন হয়ে গেলে অনলাইন সংবাদমাধ্যমের নিবন্ধন
অনলাইন গণমাধ্যমের নিবন্ধনের ব্যাপারে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনলাইন গণমাধ্যমের জন্য অনলাইন নীতিমালা হয়েছে। সম্প্রচার আইন হয়ে গেলে এগুলোকেও নিবন্ধন দেওয়া যাবে। সুতরাং এই ধাপগুলো হয়ে গেলে এগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনার ব্যবস্থা শুরু হবে এবং এটি প্রয়োজন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কিন্তু সাংবাদিকদের জন্য নয়, দেশের জন্য। দেশের সব মানুষের জন্য। তবে সাংবাদিকদের যেসব উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আছে, আমি এক কথাই বলবো- সেগুলো দূর করার জন্য আমি কাজ করবো।

রাষ্ট্রায়ত্ত মিডিয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ঢাকার বাইরে বিটিভির জন্য চট্টগ্রামে সম্প্রচার কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। আমাদের ইচ্ছে আছে বিভাগীয় শহরগুলোতেও সম্প্রচার কেন্দ্র স্থাপন করার। এছাড়া রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আগের তুলনায় যেন আরও বেশি কার্যকর হয় সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।

সাম্প্রতিক নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিএনপির পরাজয়ের অন্যতম কারণ হলো মানুষের ভালোবাসা না পাওয়া। বিগত বছরগুলো হিসাব করলে দেখবেন তাদের যাবতীয় আন্দোলন (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন) তারেক রহমানের মুক্তি, তারেককে দেশে ফিরিয়ে আনাসহ তাদের নিজস্ব বিষয়গুলো নিয়ে। কিন্তু আমজনতার কোনো বিষয়ে তাদের আন্দোলন করতে দেখা যায় না। তাহলে তারা মানুষের ভালোবাসা পাবে কী করে? বরং নিজেদের বিষয়গুলো নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে তারা জনগণের মনে ত্রাস সৃষ্টি করেছে। আর এটাই তাদের পরাজয়ের অন্যতম কারণ।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৯
এইচএমএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।