ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

অটোরিকশার জন্যই বন্ধুকে গলাকেটে হত্যা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৯
অটোরিকশার জন্যই বন্ধুকে গলাকেটে হত্যা আসামিদের পুলিশ হেফাজতে এস জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, সেখানে রাখা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সরঞ্জাম

রাজশাহী: রাজশাহীতে অটোচালক জমিস উদ্দিন জয়কে (২৪) গলাকেটে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত তিনজনের কাছ থেকে হত্যারহস্য উদঘাটন করা গেছে। অটোরিকশাটি হাতিয়ে নিতেই বন্ধুকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে বলে তারা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে মহানগরীর শাহ মখদুম থানায় বিষয়টি নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। এ সময় বক্তব্য রাখতে গিয়ে আরএমপির শাহ মখদুম জোনের উপ-কমিশনার হেমায়েতুল ইসলাম এ কথা জানান।

এর আগে গত ৭ জানুয়ারি বিকেলে নিখোঁজ হয়েছিলেন অটোচালক জসিম উদ্দিন জয় (২৪)। ঘটনার দু’দিন পর গত ৯ জানুয়ারি (বুধবার) রাতে গোদাগাড়ী থেকে জমিস উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় শাহ মখদুম থানা পুলিশ।  

আরএমপির শাহ মখদুম জোনের উপ-কমিশনার হেমায়েতুল ইসলাম জানান, অটোরিকশা চুরির উদ্দেশেই চালককে মাদক সেবন করানোর পর গলাকেটে হত্যা করা হয়েছিল। সন্দেহ করা হচ্ছে গ্রেফতারকৃতরা বহুদিন থেকেই আটোরিকশা চুরির সঙ্গে জড়িত। জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই প্রমাণ মিলেছে।

তিনি আরও জানান, আসামিরা নিজেদের পাশাপাশি অটোচালককেও মাদক সেবন করায়। যাতে তাদের এই অমানবিক কাজটি করতে বেগ পেতে না হয়।  

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, গত ৭ জানুয়ারি রাজশাহী মহানগরী থেকে নিহত অটোচালক জয় তার অটোরিকশা নিয়ে নিখোঁজ হন। এরপর তার মামা মঞ্জুর হোসেন শাহ মখদুম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।  

পরে জয়কে খুঁজতে গিয়ে পুলিশ গোদাগাড়ী এলাকার জসিম ও সুমন নামের দুইজনের সন্ধান পায়। তারা ওইদিন জয়ের অটোরিকশাটি ভাড়া করেছিলেন। এরপর তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ তারা স্বীকার করেন অটোরিকশার জন্য তার জয়কে হত্যা করেছে।  

তাদের দেওয়া তথ্যনুযায়ী বুধবার রাতে গোদাগাড়ীর সরমংলা এলাকা থেকে জমিস উদ্দিনের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) ভোরে নিজ বাড়ি থেকে রাজিব হোসেন (২৪) নামের আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। রাজিব একই উপজেলার মাটিকাটা গ্রামের মারিফুল ইসলামের ছেলে। এর মধ্যে জসিম উদ্দিন ও সুমন আলী মহানগরীর তৃপ্তি হোটেলে কাজ করতো।

হত্যার পর জসিম ও সুমনের গায়ের রক্তমাখা পোশাক জসিম তার বাড়িতে রেখে আসে। আর চুরি করা অটোরিকশাটি নাটোরে জসিমের দুলাভাইয়ের বাড়িতে লুকিয়ে রাখে। তবে এতো কিছু করেও শেষ রক্ষা হয়নি তাদের।

নিহত জয়ের অটোতে থাকা অপর এক বৃদ্ধ যাত্রীর সামান্য তথ্যের ভিত্তিতে শাহ মখদুম থানা পুলিশ আসামি তিনজনকে গ্রেফতার করে।

নিহত অটোচালক জয়কে হত্যার আলামত সেই ছুরি, অটোরিকশা ও ঘটনার দিন পরিহিত আসামিদের পোশাক পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।  

আদালত খুললে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে বলেও জানান আরএমপির ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৯
এসএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।