ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়-২ পুনঃনির্বাচনে এনআইডি ছাড়া ঢুকতে বাধা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৯
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়-২ পুনঃনির্বাচনে এনআইডি ছাড়া ঢুকতে বাধা ভোটকেন্দ্র। ছবি: বাংলানিউজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের স্থগিত হওয়া তিনটি কেন্দ্রে জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া ভোট দিতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ভোটাররা। তাই অনেকেই ভোট দিতে না পেরে ফিরে গিয়েছেন বলেও জানা গেছে। 

যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তনিমা আফ্রাদ বলেছেন কিছুক্ষণ এ নির্দেশনা থাকলেও পরে তা শিথীল করে আগের নিয়মেই ভোটগ্রহণ চলছে।  

অন্যদিকে এই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সামসুজ্জামান জানান এটাই নিয়ম।

সরেজমিন তিনটি কেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে ভোটারদের উপস্থিত বেশি থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত কমে যেতে দেখা গেছে। পুরুষ ভোটাররা ভোট দিতে এলেও নারী ভোটাররা তেমন আসছে না।

এই তিনটি কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয় বুধবার সকাল ৮টা থেকে। ভোটগ্রহণের শুরু থেকেই যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। কিন্তু সেখানে বেধে দেওয়া হয় নতুন নিয়ম। জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া কউকেই ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। ভোটাররা বিষয়টি নিয়ে কথা বললেও তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র আনার জন্য। অনেকেই জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে ফেলার কারণে ও নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ভোট দিতে পারেননি। আবার অনেকেই জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে এসে ভোট দিতে পেরেছেন।  

এই কেন্দ্রের ১ নম্বর বুথে ভোট দিতে আসা খুরশিদ আলম জানান, আমার ভোটার নম্বর ১৬১ বলার পরেও ভোটের লাইন থেকে আমাকে বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসার জন্য। আমি বাড়িতে গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র আনার পর ভোট দিতে পেরেছি।  

আরেক ভোটার রতন মিয়া জানান, আমিও ভোট দিতে এসে আবারো বাড়িতে ফেরত গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে এসেছি ভোট দেয়ার জন্য।  

যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ১ নম্বর বুথের পোলিং অফিসার কবির হোসেন সরকার ও মিজানুর রহমান জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তনিমা আফ্রাদ ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সামসুজ্জামান আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে ভোট নেয়ার জন্য।  

এসব বিষয়ে এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মঈনুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, আমরা এমনভাবে কাউকে ফেরত যেতে বলেনি। তবে ছবির সঙ্গে মিল রেখে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারছেন সবাই।  


আশুগঞ্জ উপজেলার বাহারদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সোহাগপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে (৩০ ডিসেম্বর) মারামারি ও কেন্দ্র বন্ধ থাকায় (১ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন থেকে ওই কেন্দ্রগুলোতে পুনরায় ভোটের জন্য ৯ জানুয়ারি সময় বেধে দেয়া হয়। সেই অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা রিটার্নি অফিসারের কার্যালয় থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়।  

সেই তারিখ অনুযায়ী (৯ জানুয়ারি) বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা চলবে ভোটগ্রহণ। এই তিন কেন্দ্রে ২০টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে। উপজেলার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিন জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ২০ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ৪০ জন পোলিং এজেন্ট দায়িত্ব পালন করছেন। তিনটি কেন্দ্রে মোট ভোটার ১০ হাজার ৫৭৪ ভোট।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।