ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কোনো মায়ের বুক খালি হোক আমরা চাইনা: নূর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮
কোনো মায়ের বুক খালি হোক আমরা চাইনা: নূর নিহত নেতাকর্মীদের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করছেন আসাদুজ্জামান নূর। ছবি: বাংলানিউজ

নীলফামারী: সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, ‘আমরা চাই না কোনো মায়ের বুক খালি হোক। যে যেই রাজনীতি করি না কেন, আর যেন হত্যার রাজনীতি না হয়। আমি কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করিনি। কারো বিরুদ্ধে মামলা মোকদ্দমাও করিনি। 

আমার গাড়ি বহরে ওই হামলা যারা করেছিলেন তাদের আপনারা সবাই জানেন। কিন্তু কেন এ হামলা করা হয়েছিল সেটা আমার জানা নেই।

সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের গাড়িবহরে হামলা ও চার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী হত্যার চার বছর পূর্তিতে শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।  

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রামগঞ্জ দ্ধি-মুখি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।  

টুপামারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম শাহের সভাপতিত্বে শোকসভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- টুপামারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মছিরত আলী শাহ ফকির, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন, টুপামারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি পরেশ চন্দ্র সরকার, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোস্তফা, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম শাহ, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান প্রমুখ।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ওই নারকীয় ঘটনায় নিহতদের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে খোঁজ খবর নেন।

২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার পর রাতেই নীলফামারী জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ ও পলাশবাড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে হামলা চালিয়ে বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করেন জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীরা।  

এ ঘটনার একদিন পর ১৪ ডিসেম্বর সে সময়ের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে শহরে ফেরার পথে বিকেলে টুপামারী ইউনিয়নের রামগঞ্জ বাজারে পৌঁছালে তার গাড়িবহরে হামলা চালায় জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীরা।

ওই হামলায় নিহত হন টুপামারী ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী, টুপামারী ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ফরহাদ হোসেন শাহ্ ও তার ছোট ভাই মুরাদ হোসেন শাহ্, আওয়ামী লীগ কর্মী লিটন হোসেন লেবু।
২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বরের ওই হত্যার ঘটনায় একটি মামলা হয়। ২০১৫ সালের ১১ মার্চ ২০৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. মোস্তাফিজার রহমান। মামলাটি জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে, এখনও সাক্ষ্য শুরু হয়নি। ওই ২০৬ জনের মধ্যে ১৭৮ জন জামিনে রয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে দুই আসামির। অপর ২৬ জন আজো অধরাই রয়ে গেছে।

নীলফামারী জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অক্ষয় কুমার রায় বলেন, ‘মামলাটি চার্জ গঠনের অপেক্ষায় আছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮ 
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।