ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

৯ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত হয় কুমারখালী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৮
৯ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত হয় কুমারখালী কুমারখালী

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলাকে হানাদারমুক্ত করে মুক্তিযোদ্ধারা। ছিনিয়ে আনে বিজয়। 

দিবসটি উপলক্ষে রোববার (৯ ডিসেম্বর) কুমারখালী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, কুমারখালী পৌরসভা, কুমারখালী মুক্তিযোদ্ধা কল্যান সমিতি, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির যৌথ উদ্যোগে কুমারখালী শহরে র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর সকালে কুমারখালীর কুন্ডুপাড়ায় হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে আক্রমণ করে মুক্তিযোদ্ধারা।

সে সময় মুক্তিযোদ্ধা তোসাদ্দেক হোসেন ও ননী মিয়া শহীদ হন। হানাদার বাহিনীর সঙ্গে এ যুদ্ধের খবর জেলা শহর কুষ্টিয়ায় অবস্থানরত পাক-সেনাদের কাছে চলে যায়। পরে পাক-সেনারা অস্ত্র ও বিপুল গোলাবারুদ নিয়ে কুমারখালীতে পৌঁছায় এবং ব্রাস ফায়ারের করে শহরে সৃষ্টি করে আতঙ্ক। মুক্তিযোদ্ধারা সংখ্যায় কম এবং পর্যাপ্ত অস্ত্র না থাকায় তারা স্থান ত্যাগ করেন।

পাকিস্থানি বাহিনী ও রাজাকাররা কুমারখালী শহর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে হত্যাযজ্ঞ ও শহরের বিভিন্ন এলাকায় অগ্নিসংযোগ ও লুট শুরু করে। তাদের হত্যাযজ্ঞের শিকার হন সামসুজ্জামান স্বপন, সাইফুদ্দিন বিশ্বাস, আব্দুল আজিজ মোল্লা, শাহাদত আলি, কাঞ্চন কুন্ডু, আবু বক্কার সিদ্দিক, আহমেদ আলি বিশ্বাস, আব্দুল গণি খাঁ, সামসুদ্দিন খাঁ, আব্দুল মজিদ ও আশুতোষ বিশ্বাস মঙ্গল।

এরপর ৯ ডিসেম্বর সকালে পুনরায় মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদেরকে সংগঠিত করে শহরের চারপাশ ঘিরে হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে (বর্তমানে কুমারখালী উপজেলা পরিষদ) আক্রমণ চালায়। দীর্ঘসময় মুক্তিযোদ্ধা ও হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধের পর পাকবাহিনী টিকতে না পেরে পালিয়ে কুষ্টিয়ার পথে রওনা হয়। পরে পাকবাহিনীর বহনকারী ট্রেন চড়াইকোল হাতিসাঁকো এলাকায় এলে বিস্ফোরক দিয়ে রেললাইন উড়িয়ে দেওয়া হয়। ফলে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এরপর পাকবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। শহর হয় হানাদারমুক্ত। রাস্তায় নেমে আনন্দ মিছিল করে সর্বস্তরের জনতা এবং মুক্তিযোদ্ধারা। সেদিন থেকেই কুমারখালী হানাদারমুক্ত দিবস পালন করা হয় ৯ ডিসেম্বর।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৮
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।