ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

৭ চায়ের জেলায় বিশুদ্ধ পানি দেবে সরকার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৮
৭ চায়ের জেলায় বিশুদ্ধ পানি দেবে সরকার শ্রীমঙ্গলের চা বাগানে কর্মরত শ্রমিক। ছবি: মাহফুজ সুমন

মৌলভীবাজার: দেশের চা বাগানগুলোতে কাজ করা শ্রমিকদের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানি নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। একইসঙ্গে তাদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা সম্প্রসারণেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।

স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় এই সাত জেলার প্রায় ১৬২টি চা বাগানে ৩৯ লাখ ৮ হাজার ২৩৮ জন শ্রমিক কাজ করেন।

এদের মধ্যে ৭৫ শতাংশই নারী। দেশের এসব চা বাগানে পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নাজুক ও অপ্রতুল। তাই এর মানবিক দিক বিবেচনায় পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতে উন্নতির জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশনের ওপর গুরুত্বারোপ করছে। এজন্য চা বাগানে পানি সরবরাহ এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘চা বাগানকর্মীদের জন্য নিরাপদ সুপেয় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬১ কোটি ১৪ লাখ টাকা। সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এ অর্থ যোগান দেওয়া হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর এটি বাস্তবায়ন করবে। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। গত ৭ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে চা বাগানের কর্মীদের স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার মানের উন্নতি হবে। ফলে তা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

শনিবার (১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এবং চা শ্রমিক নেতা রামভজন কৈরী বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। চা বাগানের শ্রমিকদের সম্পৃক্ত করে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এর সুফল তৃণমূল চা শ্রমিক জনগোষ্ঠীদের মাঝে পৌঁছানো সম্ভব বলে আমি মনে করি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৮
বিবিবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।