ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নির্বাচনকালীন সরকারে থাকছেন না টেকনোক্র্যাট চার মন্ত্রী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
নির্বাচনকালীন সরকারে থাকছেন না টেকনোক্র্যাট চার মন্ত্রী সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী ও অন্যরা

ঢাকা: টেকনোক্র্যাটের চার মন্ত্রী নির্বাচনকালীন সরকারে থাকছেন না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেছেন, তাদের (চার মন্ত্রী) পদত্যাগপত্র জমা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কোনো একসময় নিশ্চয়ই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করবেন। বিষয়টি এখন প্রক্রিয়াধীন।

মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন এর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, নির্বাচনকালীন সরকার গঠনে গত ৬ নভেম্বর মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকনোক্র্যাট (সংসদ সদস্য না হয়েও বিশেষ বিবেচনায় মন্ত্রী) মন্ত্রীদের পদত্যাগের নির্দেশ দেন।

ওইদিনই বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে চার মন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পদত্যাগপত্র জমা দেন। পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর তারা আর দায়িত্বে নেই ধরে নিয়ে পরের দিন ৭ নভেম্বর সকাল নাগাদ চার মন্ত্রী অফিস না করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর ১২ নভেম্বর (সোমবার) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকেও তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সবদল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, এটা ভালো দিক। এতে করে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এর মানে আমরা ৭০টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছি। নির্চবাচন কমিশন বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, নির্বাচন সাতদিন পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর করেছে। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ৪ হাজার ৩০০ মনোনয়ন প্রত্যাশী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বুধবার (১৪ নভেম্বর) সকালে তাদের নিয়ে বৈঠক হবে। এরপর কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

তিনি বলেন, আমরা এখন নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করছি। শুধু রুটিন কাজ করছি। নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। মন্ত্রিসভার রদবদলের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা পুরোপুরি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যারা জয়ী হবেন তারা নতুন সরকার গঠন করবেন।

নির্বাচনে কি খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারবেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি যতটুকু সংবিধান বুঝি তাতে করে কারো যদি দুই বছরের বেশি সাজা হয় তারপর জামিনে মুক্তি হলেও, যতোক্ষণ না তার সাজা আদালত মওকুফ করেন ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। এছাড়া কাউকে যেনো রাজনৈতিকভাবে হয়রানি না করা হয় সেজন্য প্রত্যেক জেলায় সরকার নির্দেশনা পাঠিয়েছে বলেও জানান বণিজ্যমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।