ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

খাল দখলমুক্ত করতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ দাবি মেয়রের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
খাল দখলমুক্ত করতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ দাবি মেয়রের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ডিএনসিসির ভারপ্রাপ্ত মেয়র জামাল মোস্তফা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রাজধানীর বিভিন্ন খাল ও ঢাকার চারপাশের নদী বেদখলে চলে যাচ্ছে জানিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. জামাল মোস্তফা এগুলো দখলমুক্ত করতে  সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 

রোববার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসির কনফারেন্স রুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবেলায় করণীয় শীর্ষক তিন দিনব্যাপী কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ প্রস্তাব দেন।  

এ সময় ডিএনসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী তারিক বিন ইউসুফসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভারপ্রাপ্ত মেয়র জামাল মোস্তফা বলেন, কাগজে কলমে রয়েছে রাজধানীর ভেতর ৪৩টি খাল আছে। আমাদের ঢাকাও নদী বেষ্টিত। এতো সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আমরা বারবার এক সংস্থা আরেক সংস্থাকে দোষারোপ করছি। আসলে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।  

‘আমি মনে করি এভাবে চিঠি চালাচালি না করে ঢাকা সিটির সবগুলো খাল এবং নদীগুলো দখলমুক্ত করে নাব্যতা ফিরিয়ে দিতে হাতিরঝিলের আদলে একটি মেগা প্রজেক্ট নেওয়া হোক। আর সেই প্রজেক্ট বাস্তবায়নের দায়িত্ব সেনাবাহিনীকেই দিয়ে দেওয়া হোক। এজন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। ’

তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস- সেনাবাহিনীর মাধ্যমে প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে পারলে সেটি দ্রুত সম্পন্ন হবে এবং কাজের গুণগত মান ঠিক থাকবে।  

সিটি করপোরেশন সমন্বয়ের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত মেয়র বলেন, আমি ব্যর্থ বলছি না। কিন্তু সমন্বয় করাটা কঠিন কাজ। এখানে অনেকগুলো কাজ আছে যেগুলো চাইলে-ই আমরা করতে পারি না। দখলমুক্ত করতে গেলে আমাদের অনেক বাঁধা আসে, তাই সেনাবাহিনী দিয়ে করাতে পারলে কাজটা দ্রুত হবে। প্রজেক্টটা সুপারভিশনের দায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতেই থাকতে থাকতে হবে।

‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা বিভিন্ন প্রোগ্রামের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে বসছি। ইতোমধ্যে আমরা অগ্নি-নির্বাপণের জন্য অত্যাধুনিক ফায়ার ফাইটিং যন্ত্রপাতি ক্রয় করেছি। নগরবাসীকে ঝুঁকিমুক্ত রাখার জন্যই আমাদের এসব কর্মসূচি। ’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘লোকাল ডিজেস্টার রিস্ক রিডাকশন অ্যাকশন প্ল্যান’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের সময়ে নেওয়া হয়। এরপর একটি সেমিনারের মাধ্যমে উদ্বোধন প্রকল্পের উদ্বোধন হয় দিল্লিতে।  

গত ২৫ থেকে ২৭ অক্টোবর রাজধানী ঢাকায় এ সংক্রান্ত একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রকল্পটি ২০২০ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর কোথায় খেলার মাঠ হবে, কোথায় খোলা জায়গা থাকবে, কোন ভবন আবাসিক ও কোনটি বাণিজ্যিক এবং কোথায় কী সেবা নিশ্চিত করা হবে সবকিছুই ঠিক হবে।  

ডিএনসিসির ভারপ্রাপ্ত মেয়র জামাল মোস্তফা বলেন, এ জন্য সবগুলো সেবা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
এসএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।