ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মাদকের আড্ডা বন্ধ করে দেওয়ায়...

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৮
মাদকের আড্ডা বন্ধ করে দেওয়ায়...

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে জুয়া ও মাদকের আড্ডা বন্ধ করে দেওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিককে পিটিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) রাতে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  

এর আগে বিকেলে সদর উপজেলা ভূমি অফিস গেটে হামলার শিকার হন ইউপি চেয়ারম্যান।

আহত রফিকুল ইসলাম রফিক সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। তিনি ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হারাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল হক খন্দকার ও কতিপয় সমর্থক তার ইউনিয়নের বালাটারী চান্দের বাজার যুব উন্নয়ন ক্লাবে প্রতি রাতে জুয়া ও মাদকের আসর বসিয়ে যুবসমাজকে কলঙ্কিত করছেন। বিষয়টি জানতে পেরে সে আসর বন্ধ করে দেন ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল হক খন্দকার ও তার লোকজন চেয়ারম্যান রফিককে মোবাইলে হুমকি দেন। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত ৮ আগস্ট সদর থানায় সিরাজুল হক খন্দকারসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েনি (জিডি) করেন।  

এ ঘটনার জের ধরে সাবেক চেয়ারম্যানের ভাতিজা সদর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মোত্তালিব দলবল নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে চেয়ারম্যান রফিককে আটক করে গালমন্দ করেন।

একপর্যয়ে চেয়ারম্যান রফিককে যুবলীগের নেতাকর্মীরা মারধর করলে গুরুতর আহত হন চেয়ানম্যান। এ সময় স্থানীয়রা চেয়ারম্যানকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আরিফ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ইউপি চেয়ারম্যান বুকে ও দুই হাতের বাহুতে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রংপুর নিয়ে যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।  


অভিযুক্ত সদর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মোত্তালিব বাংলানিউজকে বলেন, যুবলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান একটি মিথ্যা মাদকের অভিযোগ দায়ের করায় যুবলীগের কয়েকজন কর্মী চেয়ারম্যানকে গালমন্দ করেছেন। তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঠিকই তবে হামলা বা গালমন্দ করেননি।

লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ আলম বাংলানিউজকে জানান, স্থানীয়ভাবে বিষয়টি শুনেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৮ 
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।