ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

সেই পান দোকানির ছেলেকে অর্থ দিলেন প্রতিমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৮
সেই পান দোকানির ছেলেকে অর্থ দিলেন প্রতিমন্ত্রী চেক তুলে দিচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও অর্থের অভাবে পড়াশোনা নিয়ে সংশয় ছিল পান দোকানদারের ছেলে রিপন চন্দ্র রায়ের। সেই খবর আসে গণমাধ্যমে, চোখে পড়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নুর। তারপর রিপনকে মন্ত্রণালয়ে ডেকে শিক্ষা সহায়তার চেক তার হাতে তুলে দিলেন প্রতিমন্ত্রী।

ঠাকুরগাঁয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার থুমনিয়া গ্রামের পান দোকানদার শ্রী ভবেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে রিপনকে মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে শিক্ষা সহায়তার চেক দেওয়া হয়।
 
মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, গত ২১ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে রিপনের মেডিকেলে পড়াশোনা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ হয়।

‘টাকার অভাবে মেডিকেলে পড়াশোনা নিয়ে সংশয়’ শিরোনামটি চোখে পড়ে প্রতিমন্ত্রীর।

শ্রম প্রতিমন্ত্রী যশোর মেডিকেলে সদ্য ভর্তি হওয়া রিপনের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। রিপন শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে আগামী তিন বছরে আরও তিন লাখ টাকা শিক্ষা সহায়তা পাবেন বলে জানান আকতারুল ইসলাম।

সরকারি অর্থ সহায়তা পেয়ে রিপন বাংলানিউজকে বলেন, মেডিকেলে চান্স পেয়ে ভর্তির টাকা কোথায় পাবো তা নিয়ে মাথার ওপর পাহাড় চেপেছিল। স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) যে অর্থ দেন, তা দিয়ে ভর্তি হই। তবে মেডিকেলে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে সংশয় ছিল। এখন এই অর্থ পেয়ে সেই সংশয় অনেকটাই কেটে গেলো।

অর্থ সহায়তা পাওয়ার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রিপন। পীরগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ রিপন তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড়। গত ৭ অক্টোবর মেডিকেলের ফল প্রকাশ হয়, চলতি সেশনের ক্লাস শুরু হবে জানুয়ারিতে।
 
রিপনকে চেক হস্তান্তর করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত শ্রমিক, মেহনতি মানুষ, দিন মজুরের সন্তান সরকারি মেডিকেল কলেজ, টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে এ তহবিল থেকে তিন লাখ টাকা শিক্ষা সহায়তা দেওয়া হয়।

অপরদিকে, কোনো শ্রমিকের সন্তান সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করলে তাদেরও ৫০ হাজার টাকা শিক্ষা সহায়তা দেওয়া হয়।

মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. আনিসুল আউয়াল, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক মো. শামসুজ্জামান ভূঁইয়া, শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক শিবনাথ রায় এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের আঞ্চলিক কার্যালয় দিনাজপুরের উপ-মহাপরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় দুর্ঘটনায় হাত হারানো চা শ্রমিক মহাবির করকে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে এক লাখ টাকার আর্থিক সহায়তার চেক দেওয়া হয়।

এসময় বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি মাখন লাল কর্মকার এবং সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল শ্রম প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর  ২৩, ২০১৮
এমআইএইচ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।