ঢাকা: রাজধানীর জুরাইনের দুই শিশু সন্তানসহ গৃহবধূ রীতা আত্মহত্যা প্ররোচণা মামলাটি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল ১-এর বিচারক একেএম মোস্তফা দেওয়ান এ নির্দেশ দেন।
রীতা তার দুই শিশু সন্তানসহ আত্মহত্যা করলে গত ১১ জুন ঢাকার কদমতলী থানায় নারী ও শিশু আইনে মামলা করেন রীতার মা মাজেদা বেগম। তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান ১২ জুলাই দণ্ডবিধির ৩০৫/৩০৬ ও ৩৮১ ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে নারী ও শিশু আইনের কোনো ধারা না থাকলেও গত ১৯ আগস্ট মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১-এ পাঠান ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম একেএম এনামুল হক।
আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন রাশেদ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, মামলাটি আমলে নেওয়ার ওপর শুনানি শেষে নারী ও শিশু আদালতে বিচারের মতো কোনো ধারা না থাকায় তা পুনরায় মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
সকালে রীতার স্বামী রাশেদুল কবির ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা স্মৃতিকে জেল হাজত থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার জামিনপ্রাপ্ত আসামি ইত্তেফাকের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রীতার শ্বশুর শফিকুল কবির, শাশুড়ি নুরবানু, ননদ কবিতা কবির ও সুখন কবির এবং ননদের স্বামী দেলোয়ার হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
১৭ জুলাই তিন দফায় ১১ দিনের রিমান্ড শেষে রাশেদুল ও স্মৃতিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, আত্মহত্যা প্ররোচণা মামলায় রাশেদুল কবির ও রাজিয়া সুলতানা স্মৃতিকে ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১১ টায় গুলশানের পিজাহাটের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১০