ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পানিমন্ত্রীর এলাকায় ভাঙন, নেন না খোঁজ-খবর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৮
পানিমন্ত্রীর এলাকায় ভাঙন, নেন না খোঁজ-খবর প্রেসক্লাবের সামনে কাউখালীবাসীর মানববন্ধন/ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: পিরোজপুরে কাউখালী উপজেলার সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে একের পর এক গ্রাম। নিজের এলাকা হলেও পানিসম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু কোনো খোঁজ-খবর রাখছেন না। ভাঙন থেকে রক্ষায় এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে ঢাকায়।

শনিবার (২০ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কাউখালী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান কাজী হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে এ মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন আয়োজন করে কাউখালীবাসী।


 
সভাপতির বক্তব্যে কাজী হারুন-অর-রশিদ বলেন, সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে সোনাকুড় গ্রাম প্রায় বিলীন হওয়ার পথে। ইতোমধ্যে গ্রামটির তিনভাগের প্রায় দু’ভাগ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সোনাকুর গ্রামে রয়েছে ২৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প। এই গ্রামে মাটির কাজ করা কুমার ও পাল বংশের লোকজন ভিটেমাটি হারিয়ে আজ নিঃস্ব।
 
তিনি জানান, গত ১৫ দিনে সোনাকুর গ্রামের প্রায় ২০ একর জমি, ৫০টি বেশি বাড়ি, ২০টি দোকান ও একটি কাঠের ব্রিজ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া ভাঙন ছড়িয়ে পড়েছে এক নম্বর সয়ন-রঘুনাথপুর ইউনিয়নের হোগলা, বেতকা, রঘুনাথপুর, সয়না, রোঙ্গাকাঠি, শীর্ষা ও মেঘপাল গ্রামে।  

২ নম্বর আমড়াজুরি ইউনিয়নের সরকারি খাদ্যগুদাম, আশোয়া, গন্ধব্য, কুমিয়ান, ফেরিঘাট এলাকাও ধীরে ধীরে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। একইসঙ্গে কাউখালী নদীবন্দর লঞ্চঘাট এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। এখন থেকে রোধ না করলে মানচিত্র থেকে এই উপজেলা বিলীন হয়ে যাবে।
 
এলাকার সংসদ সদস্য পানিসম্পদ মন্ত্রী নীরব ভূমিকা পালন করছেন দাবি করে তিনি বলেন, মন্ত্রীর পক্ষ থেকে নদী ভাঙন রোধ করার কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।

নদী তীরবর্তী এলাকার খেটে খাওয়া মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় নদী ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন কাউখালীবাসী।
 
এসময় ঢাকার কাউখালী যুব কল্যাণ সমিতির সভাপতি একেএম সাইফুর রহমান আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম উজ্জ্বল, ঢাকার কাউখালী শিক্ষার্থী কল্যাণ পরিষদের সমন্বয় কমিটির সভাপতি আহাসান হাবীব মিলন, দ্বীপ কল্যাণ সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন রোকন, সমিতির নেতা অ্যাডভোকেট দেলোয়ার শরীফ, সালাহ উদ্দিন হিরু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কাউখালী যুব কল্যাণ সমিতির নেতা এইচ এম দ্বীন মোহাম্মদ।
 
মানবন্ধনে কাউখালী যুব কল্যাণ সমিতি, ঢাকার কাউখালী শিক্ষার্থী কল্যাণ পরিষদ, দ্বীপ কল্যাণ সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৮
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।